শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আয় ১ বিলিয়ন ডলার: সিপিডি

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮১৫ বার পড়া হয়েছে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি শুল্ক আদায় করে। অপরদিকে, মার্কিন পণ্য থেকে বাংলাদেশ মাত্র ১৮০ মিলিয়ন ডলারের মতো শুল্ক পায়, যা বাংলাদেশের জন্য যেমন আর্থিক চাপের কারণ, অন্যদিকে বৈষম্যমূলক বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করে সিপিডি।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দুই দেশের শুল্কনীতি ও বাণিজ্য ভারসাম্যে রয়েছে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র গবেষণা এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে তারা এ তথ্য তুলে ধরে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ মাকিন পণ্যে গড়ে ৬.২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তবে বিভিন্ন রেয়াত ও ছাড় বিবেচনায় সেই হার কার্যত কমে এসে দাঁড়ায় মাত্র ২.২ শতাংশে।  বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়ে ১৫.১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের পণ্য—বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ভারসাম্যমূলক করতে হলে কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং গভীর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করে সিপিডি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান শুল্ক বৈষম্যের বিষয়টি এখন নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার নিয়ে আসা উচিত বলে জানান সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া ধারাবাহিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের বিকল্প নেই বলে জানান সিপিডি চেয়ারম্যান। একটি নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা করে রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কছাড় বা শুল্কহ্রাসের সুবিধা চাওয়াসও বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন সিপিডি চেয়ারম্যান।

এদিকে পোশাক খাতে মার্কিন বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির জন্য বিশেষ ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি; যা তৈরি পোশাকের শুল্ক মওকুফের বিষয়ে আলোচনার সুবিধা আনতে পরে বলে মত দিয়েছে সংস্থাটি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আয় ১ বিলিয়ন ডলার: সিপিডি

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি শুল্ক আদায় করে। অপরদিকে, মার্কিন পণ্য থেকে বাংলাদেশ মাত্র ১৮০ মিলিয়ন ডলারের মতো শুল্ক পায়, যা বাংলাদেশের জন্য যেমন আর্থিক চাপের কারণ, অন্যদিকে বৈষম্যমূলক বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করে সিপিডি।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দুই দেশের শুল্কনীতি ও বাণিজ্য ভারসাম্যে রয়েছে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র গবেষণা এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে তারা এ তথ্য তুলে ধরে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ মাকিন পণ্যে গড়ে ৬.২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তবে বিভিন্ন রেয়াত ও ছাড় বিবেচনায় সেই হার কার্যত কমে এসে দাঁড়ায় মাত্র ২.২ শতাংশে।  বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়ে ১৫.১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের পণ্য—বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ভারসাম্যমূলক করতে হলে কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং গভীর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করে সিপিডি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান শুল্ক বৈষম্যের বিষয়টি এখন নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার নিয়ে আসা উচিত বলে জানান সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া ধারাবাহিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের বিকল্প নেই বলে জানান সিপিডি চেয়ারম্যান। একটি নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা করে রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কছাড় বা শুল্কহ্রাসের সুবিধা চাওয়াসও বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন সিপিডি চেয়ারম্যান।

এদিকে পোশাক খাতে মার্কিন বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির জন্য বিশেষ ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি; যা তৈরি পোশাকের শুল্ক মওকুফের বিষয়ে আলোচনার সুবিধা আনতে পরে বলে মত দিয়েছে সংস্থাটি।