শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনে ১৩৯০ বছরের প্রাচীন ‘হুয়াইশেং মসজিদ’

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হুয়াইশেং মসজিদটি পৃথিবীর অতি প্রাচীন মসজিদগুলোর একটি। ৬২৭ হিজরি সনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা হজরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস সর্বপ্রথম মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিকে ‘লাইটহাউজ’ নামেও পরিচিত। এটি গুয়াংযোর প্রধান মসজিদ।

মসজিদের নাম হুয়াইশেং। যার অর্থ হলো ‘জ্ঞানী লোককে স্মরণ’ আর বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মরণে এ মসজিদটির নামকরণ করা হয় হুয়াইশেং মসজিদ। চীনের তাং রাজ বংশের রাজত্বকালে মসজিদটি নির্মিত হয়।

নির্মাণকালের পর প্রাচীন মসজিদটি এখন পর্যন্ত অনেকবার সংস্করণ করা হয়েছে। তবে একাধিকবার সংস্কার করা হলেও এর নির্মাণে চীনের ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। মসজিদটির ভেতরের অংশটি অত্যন্ত চমৎকার কারুকার্য

ও আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও আকর্ষণীয়। হুয়াইশেং মসজিদটি চীনের চারটি সুপরিচিত মসজিদের একটি। অন্য তিনটি মসজিদ হলো- ইয়াংঝৌ ক্র্যান মসজিদ, কুয়ানঝৌ কিলিন মসজিদ ও হ্যাংঝৌ ফিনিক্স মসজিদ।

ইমাম হল, ওয়াংয়ু চিলেকুঠুরি, ঢাকা করিডোর, ইসলামী বইয়ের সংরক্ষণাগার, পাথরে খোদিত অভিলিখন প্যাভিলিয়ন ও আলোক বুরুজ। এ ছয়টি ভবন নিয়ে গঠিত মসজিদের আয়তন ২ হাজার ৯৬৬ বর্গমিটার।

মসজিদটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো ১১৮ ফুট উচ্চতার সরু মিনার। যেটিকে মসজিদের আলোক বুরুজও বলা হয়। এটি এমন একটি স্থাপনা, যা সিলিন্ডারের আকৃতির; এতে পাথর ও চুন-সুরকির সুনিপুণ কাজ রয়েছে। বুরুজের ভেতরে রয়েছে সিঁড়িপথ। এ রকম স্থাপত্যশৈলীর মিনার চীনে আর নেই। এ আলোক বুরুজের কারণেই মসজিদটির অপর নাম ‘লাইট হাউজ বা বাতিঘর মসজিদ।’

এক সময় এ আলোক বুরুজটিকে ঝুজিয়াং নদীতে চলাচলকারী নৌকার জন্য আলোকস্তম্ভ হিসেবে ব্যবহার হতো। হুয়াইশেং মসজিদ এখনো চালু আছে এবং গুয়াংঝৌর মুসলমান জনজীবনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উল্লেখ্য, হুয়াইশেং মসজিদটি ১৩৫০ সালে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং ১৬৯৫ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনঃনির্মাণ করা হয়।

ইসলামের প্রথম যুগে মদিনার বাইরে যেসব দেশে ইসলামের দাওয়াত প্রচার হয়েছিল, তন্মধ্যে চীনও একটি। ইসলামের প্রচার উপলক্ষে চীনে বহু মসজিদও নির্মিত হয়েছে।চীনে বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি মসজিদ রয়েছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে মিনার ও গম্বুজ শোভিত মসজিদগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যে, এটি মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

চীনে ১৩৯০ বছরের প্রাচীন ‘হুয়াইশেং মসজিদ’

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হুয়াইশেং মসজিদটি পৃথিবীর অতি প্রাচীন মসজিদগুলোর একটি। ৬২৭ হিজরি সনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা হজরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস সর্বপ্রথম মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিকে ‘লাইটহাউজ’ নামেও পরিচিত। এটি গুয়াংযোর প্রধান মসজিদ।

মসজিদের নাম হুয়াইশেং। যার অর্থ হলো ‘জ্ঞানী লোককে স্মরণ’ আর বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মরণে এ মসজিদটির নামকরণ করা হয় হুয়াইশেং মসজিদ। চীনের তাং রাজ বংশের রাজত্বকালে মসজিদটি নির্মিত হয়।

নির্মাণকালের পর প্রাচীন মসজিদটি এখন পর্যন্ত অনেকবার সংস্করণ করা হয়েছে। তবে একাধিকবার সংস্কার করা হলেও এর নির্মাণে চীনের ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। মসজিদটির ভেতরের অংশটি অত্যন্ত চমৎকার কারুকার্য

ও আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও আকর্ষণীয়। হুয়াইশেং মসজিদটি চীনের চারটি সুপরিচিত মসজিদের একটি। অন্য তিনটি মসজিদ হলো- ইয়াংঝৌ ক্র্যান মসজিদ, কুয়ানঝৌ কিলিন মসজিদ ও হ্যাংঝৌ ফিনিক্স মসজিদ।

ইমাম হল, ওয়াংয়ু চিলেকুঠুরি, ঢাকা করিডোর, ইসলামী বইয়ের সংরক্ষণাগার, পাথরে খোদিত অভিলিখন প্যাভিলিয়ন ও আলোক বুরুজ। এ ছয়টি ভবন নিয়ে গঠিত মসজিদের আয়তন ২ হাজার ৯৬৬ বর্গমিটার।

মসজিদটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো ১১৮ ফুট উচ্চতার সরু মিনার। যেটিকে মসজিদের আলোক বুরুজও বলা হয়। এটি এমন একটি স্থাপনা, যা সিলিন্ডারের আকৃতির; এতে পাথর ও চুন-সুরকির সুনিপুণ কাজ রয়েছে। বুরুজের ভেতরে রয়েছে সিঁড়িপথ। এ রকম স্থাপত্যশৈলীর মিনার চীনে আর নেই। এ আলোক বুরুজের কারণেই মসজিদটির অপর নাম ‘লাইট হাউজ বা বাতিঘর মসজিদ।’

এক সময় এ আলোক বুরুজটিকে ঝুজিয়াং নদীতে চলাচলকারী নৌকার জন্য আলোকস্তম্ভ হিসেবে ব্যবহার হতো। হুয়াইশেং মসজিদ এখনো চালু আছে এবং গুয়াংঝৌর মুসলমান জনজীবনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উল্লেখ্য, হুয়াইশেং মসজিদটি ১৩৫০ সালে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং ১৬৯৫ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনঃনির্মাণ করা হয়।

ইসলামের প্রথম যুগে মদিনার বাইরে যেসব দেশে ইসলামের দাওয়াত প্রচার হয়েছিল, তন্মধ্যে চীনও একটি। ইসলামের প্রচার উপলক্ষে চীনে বহু মসজিদও নির্মিত হয়েছে।চীনে বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি মসজিদ রয়েছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে মিনার ও গম্বুজ শোভিত মসজিদগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যে, এটি মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ।