নিউজ ডেস্ক:
সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সাইবার সিকিউরিটি কনফারেন্সর আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। বিশ্বের খ্যাতিমান আইটি এবং সাইবার সিকিউরিটিতে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ গভর্মেন্ট সাইবার সিকিউরিটি রেসপন্স টীম (বিডিজি সার্ট) গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফায়ার আই, সিসকো, সিএ টেকনোলজিস ও মাইক্রোসফট এবং ইউরোপভিত্তিক এনআরডি সিএস যৌথভাবে আগামী ৯ মার্চ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইটি কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আন্তর্জাতিক সাইবার সিকিউরিটি সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পলক বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিদেশি আইটি ও সাইবার সিকিউরিটিতে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয় বাইরের দেশ থেকে। এজন্য সাইবার আক্রমণ ও অপরাধ দমনে বিদেশি রাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করেই সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সে কারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সাইবার আক্রমণ ও অপরাধ দমনে বিদেশি রাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই অগ্রসর হতে চায়। ৯ মার্চের সম্মেলনে তাই বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিককে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে যাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের কাজটি সহজ হয়।
জাতীয় ডাটা সেন্টারের পরিচালক এবং এলআইসিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক তারেক বরকতউল্লোহ বলেন, ফায়ার আই, সিসকো, সিএ টেকনোলজিস ও মাইক্রোসফট এবং এনআরডি সিএস সাইবার সিকিউরিটতে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে আমরা এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করেছি। যাতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে একটি কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এলআইসিটি প্রকল্প ইতোমধ্যে ইউরোপভিত্তিক এনআরডি সিএস এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এবং দিল্লীর ইএসআই এর সহযোগিতায় প্রায় ২০০০ সরকারি কর্মকর্তাকে ই-গভর্মেন্টসহ সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।