টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে ৬ টি মাছ ধরার ট্রলার ৫৮ জন জেলেসহ গভীর সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গমন করে। গত ৯ অক্টোবর সেন্টমার্টিন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় ভূলবশত মায়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করে। এসময় মায়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে ওই ট্রলার লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে তিনজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়, এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, মায়ানমার নৌবাহিনী তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ট্রলারসহ আটক করে নিয়ে যায়। এসময় বঙ্গোবসাগরে টহলরত কোস্ট গার্ড জাহাজ তাজউদ্দিন বিষয়টি অবগত হলে মায়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ এর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুর ২টার দিকে ১ টি ট্রলারের ১১ জন জেলে ০১ জন মৃত) কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট শাহপরী এর সহায়তায় শাহপরী দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছায়। অপর ৫ টি ট্রলার ৪৭ জন জেলেসহ বিসিজিএস তাজউদ্দিন এর কাছে হস্তান্তর করা হলে জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরববারহ করা হয়। কোস্টগার্ড আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সকলকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়’, বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগর মোহনায় বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমার উপকূল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে মো. ওসমান নামে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত হন। আহত হন তিন জেলে। এ সময় ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ ৪টি ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে যায় দেশটির নৌবাহিনী। পরে ট্রলারসহ অন্য মাঝিদের ছেড়ে দেয় মিয়ানমার।