স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ মাত্র আট বছর বয়সে খেলতে গিয়ে অন্ডকোষ হারায় নজরুল ইসলাম। সে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার হামদহ খোন্দকার পাড়ার বাদল লস্কারের ছেলে। তখন বাবা পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নজরুল ছোট। বৃদ্ধ বাবা বাদল লস্কার জানান, ১৯৮৮ সালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের পানির ট্যাংকি থেকে পড়ে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় ছেলের স্বপ্ন। স্কুল ছেড়ে ঠাঁই হয় তার হাসপাতালে। নজরুল হাসপাতালেই পার করেছে শিশু, কৈশর ও যৌবন। হতদরিদ্র ঘরের সন্তান হওয়ায় পঁচিশ বছরেও সুস্থ হতে পারেনি সে।
এরই মধ্যে গরীব বাবার সহায় সম্পদ বলতে যা কিছু ছিল সব ব্যায় হয়েছে চিকিৎসায়। কিন্তু সফলতা নেই। ঢাকা মেডিকেলে ও পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব ব্যায় করেছেন অসহায় বাবা বদর লস্কার। বাবা আরো জানালেন, পাড়া প্রতিবেশিরা বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছেন নজরুলের চিকিৎসায়। তুলেছেন যানবাহন থেকে চাঁদা। এ ভাবে ব্যায় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। অর্থাভাবে এখন তার চিকিৎসা বন্ধ। প্রতিবেশি হাটগোপালপুর করেজের প্রভাষক মহাসিন মিয়া জানান, প্রচন্ড আঘাতের কারণে নজরুলের পুরুষাঙ্গ দিয়ে প্রসাব নিঃসরণ হয় না। ডাক্তাররা তার তলপেটে ছিদ্র করে প্রসাব করানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এ জন্য পেটের বাম পাশে একটি ব্যাগ তাকে টেনে নিয়ে বেড়াতে হয়। এ ভাবে চলতে চলতে গত ডিসেম্বরে নজরুলের প্রসব নালীতে মারাত্মক ইনফেকশন দেখা দেয়। তিনি আরো জানান, ঢাকা মেডিকেলে যোগাযোগ করলে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানিয়ে দেন এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়। ছেলের জীবন রক্ষায় সহায় সম্বল বিক্রি করে ভারতের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বৃদ্ধ বাবা বাদল লস্কার। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চন্দ্রসিং জে তাকে প্রথম দফার অস্ত্রোপচার শেষে দুই মাস পর আবার সাক্ষাতের তারিখ দেন এবং আশ্বস্ত করেন দ্বিতীয় দফা চিকিৎসায় ভাল হবে নজরুল।
নজরুলের বাবার ছেলের চিকিৎসায় আর কোন সমর্থ নেই। ছেলের পেছনে ব্যায় করতে করতে পরিবারটি এখন নি:স্ব, রিক্ত। মাত্র দেড় লাখ টাকা হলেই নজরুল দু:সহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে পারে। পরিবারটি দেশের সহৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে নজরুলের শেষ দফার চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। মাত্র দেড় লাখ টাকা হলেই নজরুল পেতে পারে নতুন জীবন। অসুস্থ নজরুলের সাথে যোগাযোগ ০১৯১৮৮১৯৮৬৯, আর্থিক সহায়তার জন্য বিকাশ করতে পারেন ০১৭২২০২৯২৩৯ এই নাম্বারে।