আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের শীর্ষ স্বর্ণ ও হীরা চোরাকারবারি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশানে রাত ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর একটি দল।
পরে রাতেই তাকে বাড্ডা থানা পুলিশে সোপর্দ করে র্যাব।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র্যাব জানায়, দিলীপ আগারওয়ালার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান, বিদেশে অর্থ পাচার থেকে শুরু করে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আগারওয়ালাকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, বাড্ডা এলাকায় হৃদয় আহমেদ (১৬) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটি গত ২৩ আগস্ট দায়ের করা হয়। মামলায় দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার ২০ নং আসামি তিনি।
এর আগে সিআইডির পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো-রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরো প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করতেন। এ ছাড়া দুবাই ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।
বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।