ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পরিবহন থেকে জোরপূর্বক অবৈধ চাঁদা আদায়ের সময় সেনাবাহিনীর পিটানি খেয়ে ৩ চাঁদাবাজের ভো দৌড় !
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ মহাসড়কে পরিবহন থেকে জোরপূর্বক অবৈধ চাঁদা উত্তোলন সময়ে সেনাবাহিনী হাতে ফরিদ উদ্দিন, শরিফুল ও কবির হোসেন নামে ৩ চাঁদাবাজ ধরাশাহী হয়েছেন। সেনা সদস্যরা তাদেরকে ধরে বেধড়ক মারপিট করেছেন। পরে চাঁদাবাজরা আর চাদাবাজী করবেনা এমন মুচলেকা মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায়। মঙ্গবার দুপুরে ঢাকাÑখুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ শহরের টিএন্ডটি অফিসের সন্মুখে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় দুপুর ১২ টার দিকে শহরের মেইন বাসষ্টান্ড থেকে ২ শত গজ দুরে টিএন্ডটি অফিসের সন্মুখে ৪/৫ জনের একদল চাঁদাবাজ মহাসড়কে বাস, ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চাঁদা তুলছিল। এমনি সময়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ী এসে ওই যানজটে পড়ে। এ সময় সেনা সদস্যরা গাড়ী থেকে নেমে এসে দেখে ৪/৫ জন লাঠিধারী যুবক বাস ট্রাক থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। তারা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তাদেরই ৩ জনকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। পরে পায়ে ধরে চাজাবাজি আর করবেনা মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায় চাঁদাবাজরা। তারা হলেন শহরের আড়পাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন, ফয়লা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। উল্লেখ্য, বছরের পর বছর দীর্ঘদিন একটি মহলের নির্দ্দেশে ওই চাদাবাজরা কালীগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করত। গত ঈদের আগে থেকে প্রশাসনের নির্দ্দেশে মহাসড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষনা করায় কিছু দিনের জন্য চাঁদা তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রশাসনের ওই নির্দ্দেশ অমান্য করে এ সপ্তাহ থেকেই আবারো চাঁদা তোলা শুরু করে ওই চাঁদাবাজরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার সেনাসদস্যদের হাতে মার খেয়ে পালিয়েছেন তারা। এরা প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা এখানে ও কলা হাটের মোড়ে সড়কে লাল কাপড়ের পতাকা লাঠির মাথায় বেধে বাস, ট্রাক, পিকআপ সহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক ৬০ টাকাহারে চাঁদা আদায় করতো। এরা এক সাথে ৫ জন করে চাঁদার টাকা আদায় করতো। কোন যানবাহন টাকা না দিলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় ও লুকিং গ্লাস ভেংগে দেওয়া হয়। এ টাকা তুলতে প্রতিদিন ও সর্ব সময় যানবাহনের মরাতœক ভাবে জ্যাম হয়ে থাকে। ঈদের ৩ দিন আগে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার ঘোষনা দেওয়ার পর সড়কে অবৈধ চাঁদার টাকা আদায় বন্ধ থাকে। অবশেষে আবার ৯ তারিখ সকাল থেকে যানবাহনে চাঁদার টাকা আদায় শুরু হয়। দীর্ঘ বছর ধরে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি সড়কে চাঁদার টাকা জোর পূর্বক আদায় হয়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইউনুচ আলী জানান, তিনি ওই সময়ে মিটিংয়ে ছিলেন। রাস্তায় চাদাতোলা সংক্রান্ত কোন মারপিটের ঘটনা তিনি জানেননা।