আন্দুলবাড়ীয়া-সন্তোষপুর সড়কে ডাকাতদলের হানা : মোবাইল, নগদ টাকাসহ মালামাল লুট!
নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজের গাড়িসহ ৬ থেকে ৭টি যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাছাড়া ডাকাতিকালে ডাকাতদলের সদস্যরা জীবননগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করে। সবগুলো গাড়ি রেখে শুধুমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রাইভেটকারটি ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর সড়কের ছোট্টুর হিমাগারের অদূরে এই দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ সাংবাদিকদের জানান- রাতে শাহাপুর থেকে তারাবির নামাজ শেষে আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় করে বাড়ি ফিরছিলাম। ফেরার পথে আন্দুলবাড়ীয়া-সন্তোষপুর সড়কে অবস্থিত ছোট্টুর হিমাগারের অদূরে পৌছাতেই রাস্তার উপর গাছ পড়ে থাকতে দেখি। এসময় প্রাইভেটকারটির গতি কমালে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ওঁৎ পেতে থাকা আনুমানিক ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো হাসুয়া, লোহার রড ও অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ির উপর হামলা করে। এসময় হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করাসহ আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা ডাকাতরা লুট করে নেয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ আরো জানান- একই সাথে এই ডাকাতদল ৬ থেকে ৭টা যানবাহন থামিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী লুটের তান্ডব চালায়। নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতদল লুট করেছে বলে জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া আন্দুলবাড়ীয়া-সন্তোষপুর সড়কে ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তবে ৬/৭টা গাড়িতে নয় ডাকাতি হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দু’টি যানবাহনে ডাকাতি হয়েছে। আন্দুলবাড়ীয়া সড়কে টহল পুলিশ থাকা সত্বেও কেন এই ডাকাতির ঘটনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও জানান, ভোররাত পর্যন্ত এই সড়কে পুলিশের টহল থাকে। তারপরেও কেন ডাকাতির ঘটলো আমি সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এছাড়া আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। খুব ডাকাতির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে অপরাধী আটক করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন- জীবননগর থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যারা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের আটক করার জন্য।