৫৪ দিন পর একজন, ৩ ধর্ষক এখনো অধরা!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নী গ্রামের আলোচিত সেই স্কুল ছাত্রী গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী রাজন কে অবশেষে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রাজন পাশ^বর্তী কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার কন্দোরপদিয়া গ্রামের ইমারুল হোসেনের ছেলে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কে.এম শওকত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে তাকে ঢাকার সাভারের জিরাবো এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় এজাহার নামীয় একজনসহ মোট তিন ধর্ষক এখনো অধরা রয়েছে। তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান। অন্যান্য পলাতক আসামীরা হচ্ছে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম। ধর্ষিতার ভাষ্যমতে প্রথমে মিল্টন ও পরে মিন্টু তাকে ধর্ষন করে। এরপর বাকী দুইজন তার উপর নির্যাতন চালায়। কিন্তু প্রথম দিকের দুই ধর্ষককে বাদ দিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে। এতে বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তবে পুলিশ বলছে ১৬৪ ধারামতে বাকী দুইজনকেও এই মামলার আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী উপজেলার সাবেক বিন্নী গ্রামের ১০ম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে আসামী রাজন সহ দু’জনকে আসামী করে ভিক্টিমের বাবা হরিণাকুন্ডু থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আলোচিত এ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ভিক্টিমের পরিবার ও এলাকাবাসী। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ধর্ষিতার বাড়ি গিয়ে পরিবারটির পাশে দাড়িয়ে আইনী সহায়তার আশ্বাস দেন।