হরিণাকুন্ডুতে প্রকল্পের সভাপতি ও শ্রমিকদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত! আদালতে মামলা
ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা জাল স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ। এই ঘটনায় ৪জন ওয়ার্ড মেম্বর ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই ঘটনায় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইওসহ ৪জনকে আসামী ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন (যার মামলা নং-১৬/১৮ইং)। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে (পিবিআই) পুলিশের কর্মকর্তা সোহেল আহমেদকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল, ট্যাক অফিসার জবা খাতুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহমান। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে,২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজ ২০১৭ সালে ২৩ ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। এই ৩টি প্রকল্পের জন্য মোট ১৭৪জন শ্রমিক বরাদ্দ নির্ধারন করা হয়। ৪০ দিন কাজ করার কথা থাকলেও ৩৫দিন কাজ করা হয়েছে। বাকি ৫ দিন কাজ না করেই প্রকল্পের সভাপতি ও শ্রমিকদের সই জাল করে ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার সিরাজুল আলমের সহযোগিতায় নগদ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০ টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। নিয়ম রয়েছে শ্রমিকদের পাওনা স্ব-স্ব এ্যাকাউন্টের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু নিয়ম অমান্য করে ম্যানেজার ও চেয়ারম্যান মাস্টার রোলের মাধ্যমে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করেছেন। শ্রমিক সুখি, গঙ্গারাম, আমেনা, রহিম, দবির, ফজলুর, কার্তিক, নবীসন ও বাবলুর রহমান সাংবাদিকদেও জানান, ১৪ এপ্রিল ২য় ধাপে ইউনিয়নে ৪০দিনের কাজ শুরু হয়। সেখানে আমাদের চেকের মাধ্যমে ২০দিনের ৩৫শত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু একই দিনে চেয়ারম্যান ও ব্যাংক ম্যানেজার নিজেদেরকে বাঁচাতে সাদা কাগজে ১হাজার ও ৩৫ টাকার মাস্টার রোলে সই করে নিয়েছেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল ও ব্যাংক ম্যানেজার সিরাজুল আলম জানান অতিদরিদ্রদের কর্মসুচির টাকা পিআই্ও অফিসের নির্দেশ অনুযারী উঠানো হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি এবং পরবর্তী এই ভুল আর হবে না। হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, এধরনের নির্দেশ পিআইও কখনো কারো দেয় না। আমরা টাকাগুলি স্ব-স্ব শ্রমিকের একাউন্টে প্লেস করে দিয়েছি। নিয়ম রয়েছে চেকের মাধ্যমেই শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করতে হবে।