নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে সড়ক সংস্কারকাজে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতেই চলছে এ অনিয়ম। সওজের কর্মকর্তাদের এই উদাসিনতা দেখে এলাকার সচেতন মহল হতাশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদানী ট্রেডার্সের মাধ্যমে জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুর ব্রিজের হাইওয়ে রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। তবে এ সংস্কারকাজে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম-নীতি, উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। এ কাজে রাস্তায় পিচ দেওয়ার কথা ১২ মিলি, অথচ দেওয়া হচ্ছে নামে মাত্র ৬ মিলি। শুধু তাই নয়, পিচের ওপরি ভাগে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে বেলে মাটি। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতেই এ অনিয়ম ঘটছে বলে জানা গেছে। এ সংস্কারকাজের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা রফিক। গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের দেখে সড়কের সংস্কারস্থল থেকে সটকে পড়েন দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার আশিস কুমার রাহা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অথচ এ সড়কের সংস্কারকাজ চলছে দায়সারাভাবে। সড়ক বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের সামনেই কোনো রকম নামমাত্র পিচ দেওয়া হচ্ছে রাস্তায় এবং বালুর পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটি। আমরা এর প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। এই রাস্তা কয় দিন টিকবে? এটি করার চেয়ে না করায় ভালো ছিলো।’ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের রাস্তা সংস্কারকাজে উদাসীনতা দেখে এভাবেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদানী ট্রেডার্সের মালিক টিটোর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইঞ্জিনিয়ার আশিস কুমার রাহার সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলেননি বরং স্থান ত্যাগ করে চলে যান। এ বিষয়ে কথা হয় চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারীর রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জীবননগর ব্রিজের নিকট রাস্তায় যে কাজ হচ্ছে, এখানে ১২ মিলি বিটুমিন দেওয়ার কথা, না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভুল করছে। আর রাস্তায় তো বালু দেওয়ার কথা, মাটি দেওয়া তো যাবেই না। আমরা কার্পাসডাঙ্গায় কাজ দেখতে গিয়েছিলাম, এসে দেখি এ অবস্থা।’ তবে পরবর্তীতে এ সংস্কারকাজে সঠিক পরিমাণে পিচ ও বালু দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।