বিদ্যালয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার ঘটনায়
নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গায় স্কুল কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকেরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সুধীজনসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি হায়দার আলী মল্লিককে শোকজ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
গত ৩০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফল ঘোষণাকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিজিবি সদস্য হায়দার আলী মল্লিক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদসহ শিক্ষকেরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠেন। তাঁরা শহীদ মিনারে জুতা পায়ে হাঁটেন এবং নিচে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এরপর বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা করে তাঁরা। এ দৃশ্য কেউ একজন মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সবাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সাবেক সুবেদার মেজর সাইদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল বাশারসহ শিক্ষার্থী, সংবাদকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী ও সমাজসেবকেরা শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিবাদ জানানোসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার ঘটনায় গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার আলী মল্লিককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শনোর জন্য বলা হয়েছে। তাঁদের জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।