নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐতিহাসিক বৈঠকের জন্য মঙ্গলবার এখানে মিলিত হয়েছেন। বহুল প্রত্যাশিত এ বৈঠকের মধ্যদিয়ে তাদের দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর সিনহুয়ার।
সিঙ্গাপুরের অবকাশ কেন্দ্র সেন্তসা দ্বীপের ক্যাপালা হোটেলে তারা করমর্দন করেন এবং ৪০ মিনিট ধরে সরাসরি বৈঠক করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে যথাক্রমে প্রধান তিন নিরাপত্তা ও কূটনীতিক সহকারি উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (ডব্লিউপিকে) সেন্ট্রাল কমিটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান কিম ইয়ং চোল ও রি সু ইয়ং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন হোয়াইট হাসউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের পর সম্প্রসারিত বৈঠক হয়। সরাসরি বৈঠক ‘অনেক ভাল’ হয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমের সঙ্গে একটি ‘চমৎকার সম্পর্ক’ গড়ে তুলেছেন।
কিম ও ট্রাম্প করমর্দনের মধ্যদিয়ে তাদের প্রথম ঐতিহাসক এ বৈঠক শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার জাতীয় পতাকা উড়ানোর আগে তারা করমর্দন করেন। আর তাদের মধ্যে এ করমর্দন কয়েক সেকেন্ড ধরে স্থায়ী ছিল।
কিমের সঙ্গে করমর্দনকালে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি নতুন করে শুরু মাত্র।’
সাংবাদিকদের সামনে হাজির হওয়ার আগে কিম ও ট্রাম্প কয়েক মিনিট ধরে হোটেলটির বারান্দার এক কোণে কথা বলেন।
কিম বলেন, ‘এখানে মিলিত হওয়ার পথ সুগম ছিল না।’
উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, তিনি ও ট্রাম্প সকল বাধা অতিক্রম করে এখানে এসেছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে এ বৈঠকের অসাধারণ সফলতার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, কিমের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত ছিল সম্মানের। উত্তর কোরিয়ার এ নেতার সঙ্গে তিনি অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
ক্যামেরার সামনে কিমের সঙ্গে আবারো করমর্দন করেন ট্রাম্প। ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে প্রথম এ বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প হাতের বুড়ো আঙ্গুলি উপরে তুলেন।