সাবেক সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৩) ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২২ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. ওবাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার মামলায় অন্যতম আসামি এই সাদেক খান।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।
সাদেক খান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবীর নানক।
এর আগে ১৯৯৭ সালে সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে, ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
সাদেক খান ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সাদেক খান ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।