নিউজ ডেস্ক:
নানা কারণে আজকাল মানুষ বড় বেশিই ওষুধ প্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প হাঁচি-কাশি হোক কী গা গরম, মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে যেন তারা সদা প্রস্তুত। হোক না শরীরে ক্ষতি, তবু ওষুধ ছাড়া যেন তাদের একটা দিনেও শেষ হতে চায় না। আর একথা একাধিক কেস স্টাডিতেও প্রকাশ পেয়েছে।
এক সমীক্ষায় জানা যায়, আজকাল যুব সমাজ অ্যালোপ্যাথি মেডিসিনকে এতটাই ভালবেসে ফেলেছে যে রোগ সারাতে সহজ, ঘরোয়া পদ্ধতির দিকে তাদের নজরই ফেরে না। কিন্তু এত পরিমাণে ওষুধ খাওয়া যে শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই আজ এমন ৭ টি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পড়তে পড়তে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে। কারণ দৈনন্দিন জীবনে যে সব সমস্যায় আমরা ভুগে থাকি, সেগুলির প্রকোপ কমাতে বাস্তবিকই ওষুধ খাওয়ার কোনও প্রয়োজন পরে না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
টিপস ১:
বর্ষা তো এসেই গেল। এখন দেখবেন ঘরে ঘরে কেমন হাসি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ দারুন কাজে আসে। মানে, পেঁয়াজের সঙ্গে সর্দি-কাশির কী সম্পর্ক? একাধিক পরীক্ষার পর একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সর্দি-কাশিতে যখন নাক বন্ধ থাকে, তখন যদি দু’টুকরো পেঁয়াজ বালিশের পাশে রেখে ঘুমানো যায়, তাহলে এক রাতেই সর্দির প্রকোপ একেবারে কমে যায়।
টিপস ২:
মশার কামড়ে জীবন দুর্বিষহ। সেই সঙ্গে সারা গায়ে লাল চাকা চাক দাগ। কোনো চিন্তা নেই, এবার থেকে মশা কামড়ালেই সে জায়গায় অল্প করে ডিওডরেন্ট স্প্রে করে দেবেন, তাহলেই দেখবেন নিমেষে জ্বালা ভাব কমে যাবে।
টিপস ৩:
নানা কারণে যাদের রাতের বেলা ঘুম আসতে চায় না, তারা শোয়ার আগে নিয়ম করে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা শুরু করুন। দেখবেন ঘুম আসতে কোনো সমস্যাই হবে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেসও কমবে। আসলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে ঝঠপট ঘুম এসে যায়। অন্যদিকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসার কারণে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহও বেড়ে যায়, যে কারণে স্ট্রেসও কমতে শুরু করে।
টিপস ৪:
মন খারাপ হলে চোখে পানি এসেই যায়। আর কান্না যে মনের ভারকে অনেকটাই হালকা করে, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু ইচ্ছা হলেও যখন চোখের পানি বাগ মানতে চায় না তখন? কোনো চিন্তা নেই, সেক্ষেত্রে পলক না ফলে চোখ দুটি কিছুক্ষণ খুলে রাখুন। তাহলেই দেখবেন কান্না থেমে গেছে।
টিপস ৫:
ছোট বেলায় টিচাররা বলতেন সকালে উঠে পড়তে বসতে। তাতে নাকি পড়া ভাল হয়। কিন্তু বিজ্ঞান যে অন্য কথা বলছে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সকাল উঠে পড়তে বসলে পড়া যে খুব ভাল মনে থাকে, এমন নয়। কারণ সকাল বেলা ব্রেন আগের রাতে পড়া বিষয়গুলিকে মনে করার চেষ্টা করে। ফলে নতুন কিছুতে মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে মস্তিষ্কের বেশ সমস্যাই হয়।
টিপস ৬:
সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘরে? সেই সঙ্গে দুর্বলতা যেন শরীরকে ছাড়তেই চায় না? তাহলে এবার থেকে ঘুম ভাঙার পর ডান পাটা প্রথমে মেঝেতে রাখবেন। তাহলেই দেখবেন এমন সব অসুবিধা আর হবে না। আসলে ডান পা মাটির সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেন খুব অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে মাথা ঘোরাসহ নানাসব শারীরিক সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
টিপস ৭:
রাস্তা ঘাটে হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ চেপে যাওয়াটা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই গাছের তলায় নয়তো দেওয়ালের কোণে গিয়ে হাল্কা হওয়ার চেষ্টায় লেগে যান। কিন্তু যেখানে এমন সুযোগ নেই, সেখানে কী করবেন? কোনো চিন্তা নেই! সেক্ষেত্রে মনে মনে প্রিয় মানুষটার কথা ভাবার চেষ্টা করুন অথবা তার সঙ্গে কাটানো বিশেষ কোনো সময়ের কথা ভাবুন, তাহলেই দেখবেন প্রস্রাবের বেগ একেবারে কমে যাবে।