নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে অবস্থিত গুচ্ছগ্রাম এলাকায় সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ও জেলা প্রশাসকের ভূমিতে গৃহ নির্মাণ,পুকুর ও খাল খনন এবং পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।ওই এলাকায় গৃহ নির্মাণে করে লক্ষ লক্ষ টাকার দখল বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছেন স্থানীয়রা। দখল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত লোকজনের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।দখল বাণিজ্যের বিষয়ে গুচ্ছগ্রামভুক্ত ৩০ পরিবারের পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানীকে অবহিত করা হয়েছে।দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় তহশীল অফিসকে দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।এছাড়াও শান্তি শৃংখলা রক্ষায় দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে দ্রæত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার উল্লেখিত গ্রামে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের খতিয়ানভুক্ত ১নং রতনা বিল এলাকায় স¤প্রতি হতদরিদ্র ভূমিহীন ৩০টি পরিবার নিয়ে সরকারী উদ্যোগে গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়।এবং এনাতাবাদ মৌজার ১নং খতিয়ানের জেএল নং ৯৩, দাগ নং ১২২৫ ও ২৯ এর জমিতে সরকারী ভাবে প্রত্যেক পরিবারকে পৌনে তিন শতক ভূমিতে সরকারী খরচে গৃহ নির্মাণ,পুকুর এবং বৈঠকখানা নির্মাণ করে দেয়া হয় ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ।দখল সহকারে প্রতিটি পরিবারকে সমজিয়ে দেয়া হয় নিজ নিজ আবাসস্থল। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। সম্প্রতি ওই এলাকায় বিশেষ একটি মহল অবৈধ দখল প্রক্রিয়া শুরু করে।সরকারী ভাবে খাজনা পরিশোধের নামে পরিত্যক্ত ভূমি খনন করে মাটি উত্তোলন,গৃহ নির্মাণ ও পুকুর খননের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। এনিয়ে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। অপরদিকে দখলদার বাহিনীর ক্রমাগত হুমকিতে গুচ্ছ গ্রামভুক্ত ৩০টি পরিবারে উদ্ধেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। অবৈধ দখল,গৃহ নির্মাণ ও মাটি উত্তোলন চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুচ্ছ গ্রামের একাধিক লোকজন প্রতিনিধিকে জানান, তাদের ৩০ পরিবারের সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে অবৈধ গৃহ নির্মাণ, মাটি খনন ও উত্তোলন বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানী বলেন, ৩০ পরিবারের নিরাপত্তা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং সরকারী মাটি খননকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবং সরকারের ভূমি থেকে শক্তির প্রভাবে মাটি উত্তোলন, পুকুর খনন এবং গৃহ নির্মাণকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা।