নিউজ ডেস্ক:
বিদেশী টিভি নেটওয়ার্ক সম্প্রচার বন্ধের নিদের্শ জারি করা হয়েছে মর্মে যে গুজব ছড়িয়েছে তার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কোন বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল নিষিদ্ধ করেনি।
তিনি আজ বাসসকে বলেন, ‘আমরা কোন বিদেশী টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের নিদের্শনা কাউকে দেইনি, আমরা কেবল আমাদের দেশে চালু বিদেশী টিভি চ্যানেলে (বাংলাদেশী ও বিদেশী বিজ্ঞাপন) প্রচার বন্ধের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে চাই।’
হাছান বলেন, সরকারি নিদের্শ অমান্য করে কেন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে এবং এর কারণে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এর ব্যাখ্যা চেয়ে দু’টি অপারেটরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী ভারতসহ কোন দেশকে নিজ দেশের টিভি নেটওয়ার্কের আর্থিক ক্ষতি করে বিদেশী চ্যানেলে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দেয়া হবে না।
এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, কতিপয় ‘অসাধু ব্যবসায়ী জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গুজব ছড়ায় যে বিদেশী বিজ্ঞাপন প্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান তাদের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্তে কঠোর থাকবে সরকার। তিনি বলেন, ‘সরকার কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন লঙ্ঘন করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাত্র।’ তথ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শন সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলিভিশন শিল্পকে বাঁচাতে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে সরকার আইন প্রয়োগ শুরু করেছে। সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। সরকার প্রচলিত আইন প্রয়োগ করেছে মাত্র।’
‘ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদেশি কোনো চ্যানেলে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় না। শুধু দেশীয় বিজ্ঞাপন নয় কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যায় না। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের আইন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ১ এপ্রিল যে দুটি চ্যানেলকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এই দুটি চ্যানেল বিদেশি বিজ্ঞাপন নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রচার করছিলেন। সরকার যা করেছে তা টেলিভিশনের মালিক, সাংবাদিক, কলা-কৌশলীদের স্বার্থের জন্যই করেছে। কারণ, বিদেশে বিজ্ঞাপন প্রচার করার কারণে বছরে ৫০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, অনেক সাংবাদিক, কলাকৌশলী বেতন পাচ্ছেন না, যা করা হচ্ছে তাদের স্বার্থের জন্যই।