মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়ক। বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন পড়ে থাকার পর গত দুমাস আগে কেবলমাত্র পিচঢালা হয়েছে, পুরো কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। তোরাবগঞ্জ থেকে পশ্চিম দিকে ২ কিলোমিটারে এখানো ভাগ্যের চাকাও ঘুরেনি।কিন্তু এর মধ্যে যে অংশ করেছে তাতে নিম্নমানের ইটেরকণা(রাবিশ)- কম উচ্চতার পিচ-পাথর, পাশের খাল ও রাস্তার মিলনস্থলে খুটি, বক্ল দিয়ে ভিত তৈরি না করে পিচঢালা হয়েছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে মতিরহাট বড় সেতু সংলগ্ন সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে পাশের খালের ধসে পড়েছে। সংস্কার শেষ না হতেই সড়কটি আবার বেহাল। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমনটিই অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়দের।
“এটা কী কাজ করলো? খালের পাশে আগে কী মজবুত করে ভিত তৈরি করেছে? ভিত না করেই খালের ওপর পিচঢালা হয়েছে। সে সময়েও আমরা বলেছি, এ রাস্তা বেশিদিন টিকবেনা। ঠিক তাই হয়েছে। রাবিশ, পঁচা সিমেন্ট, কম রড দিয়ে বক্ল ও খুটি বানানো হয়েছে। এখানে আনার পর এগুলো এমনে এমনেই খসে পড়েছে।”
এভাবেই ক্ষোভের স্বরে অভিযোগ জানালেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক। রাতে গাড়ি কম চলার স‚ত্রকে কাজে লাগিয়ে রাতে নির্মাণাধিন সড়কের বিভিন্ন অংশ পিচঢালা হয়েছে। এতে সড়ক নির্মাণে কম পিচ-পাথর প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্থানীয়রা প্রতিবাদের ঝড় তুললে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তেমন গুরুত্বের সাথে নেয়নি।
স্থানিয়রা জানান, সড়ক সংলগ্ন বাজার ও দোকান-পাটের কাছে পিচ- পাথর ঠিকমতো দিলেও অন্যান্য অংশে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। মটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ির পথে ফিরছেন স্থানিয় কলেজ ছাত্র তৌসিফ মাহমুদ হৃদয়। এ প্রতিবেদককে দেখে মটর সাইকেল রেখে কাছে আসেন। পরক্ষণেই তিনি দেখান, মটর সাইকেল রাস্তায় রাখায় স্ট্যান্ড অনেক নিচে তলিয়ে গেছে।
তিনি এ প্রতিবেদককে সড়কের বিভিন্ন ধসে পড়া অংশ ঘুরে ঘুরে দেখান। তিনি বলেন, “এ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এমনিতেই অসহায়। একই বরাদ্দ বার বার আসেনা। আমরাওতো এ রাষ্ট্রের মানুষ, নাকি? যা এখানে সাড়ে তিন কিলোমিটার কাজের বরাদ্দ আসলো, তা আমরা ঠিকমতো বুঝিয়ে পায়নি।” বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জেলা এলজিইডি নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রশিদ আহম্মদের সাথে। ঘটনা স্বীকার করে তিনি জানান, ওখানে সড়ক নির্মাণ কাজে একটু সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।