নিউজ ডেস্ক:
মালয়েশিয়া শ্রমিক ভিসায় গিয়ে মালয় কন্যা বিয়ে করার স্বপ্নে বিভোর বিদেশি শ্রমিকদের জন্য দুঃসংবাদই বটে। কাজের ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে মালয়েশিয়ান মেয়েদের বিয়ে করার উপর আসছে নিষেধাজ্ঞাসহ জেল ও জরিমানার বিধান।
এমনটাই জানালেন মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো নূর জাজলান মোহাম্মদ। তিনি বলেন, বিয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মালয়েশিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে কিছু কিছু বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিকে স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করতে দেখা যাচ্ছে। যা মালয়েশিয়ান অভিবাসন আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো নূর জাজলান মোহাম্মদ জোর দিয়ে বলেছেন যে, পিএলকেএস পারমিটধারী বিদেশি শ্রমিকরা কোনো মালয় কন্যাকে বিয়ে করলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে তাদের ওয়ার্ক পারমিট প্রত্যাহার করা হবে।
অবৈধ বিদেশিদের আশ্রয় প্রদানের কারণে তাদের মালয়েশিয়ান স্বামী/স্ত্রীকেও অভিযুক্ত করা হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে ১০,০০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পর্যন্ত জরিমানা করা হবে অথবা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ছয়টি বেত্রাঘাত প্রদান করা হবে।
নূর জাজলান আরও বলেন, অভিবাসন আইন ভঙ্গকারী বিদেশি নাগরিকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং ভবিষ্যতে আবার মালয়েশিয়া প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন হয়েছে অভিবাসন বিভাগ ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় বিভাগ) উভয়ের মধ্যেকার কাজকর্মের ফারাক থেকে, যেখানে অমুসলিমরা বিদেশিদের বিয়ে করতে চাইলে তাদের জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের মাধ্যমে তা করতে হয়। আবার মুসলমানদের বিয়ে শাদি সম্পাদনের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় বিভাগের (আগামা ইসলাম) উপর ন্যস্ত।
অভিবাসন বিভাগের মহা-পরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু বিদেশি কেবল নাগরিকত্ব লাভের আশায় মালয়েশিয়ীদের বিয়ে করে। এক্ষেত্রে তরুণ বিদেশি কর্মীরা বেশির ভাগই ৪৮ থেকে ৫৪ বছর বয়স্কা স্থানীয় নারীদের বিয়ে করার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
অভিবাসন বিভাগ যখন তাদের করা নাগরিকত্বের আবেদনটি পরীক্ষা করে তখন আমরা তাদের বিয়ের ব্যাপারে সন্দেহজনক বিষয়াদি খুঁজে পাই। যার মধ্যে আবার অনেকেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার ও করেন না, শুধুমাত্র এ দেশের নাগরিকত্ব লাভের আশায় বিয়ে করে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় বহন করে।
তিনি আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে আমাদের স্থানীয় ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই দুর্ভোগের শিকার হবেন, কারণ তাদের বিয়ে করা বিদেশি স্বামী বা স্ত্রীরা একবার নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে তারা পরিত্যক্ত বা তালাকপ্রাপ্তা হতে পারেন।