নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নাকোইল গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো- নাকোইল গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেন (৪৫), মনিরুল মন্ডলের ছেলে কানন মন্ডল (২৫), কালু বিশ্বাসের ছেলে জব্বার বিশ্বাস (৫০), শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের ছেলে জাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার (৪৭), শফি জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইসরাইল জোয়ার্দ্দার (৪৫), আনছার জোয়ার্দ্দারের ছেলে ফজলুর রহমান (৪২), মতিয়ার রহমানের ছেলে জাফর (৪০), রইজ জোয়ার্দ্দারের ছেলে রতন জোয়ার্দ্দার (৩৫), তোফাজ্জেল জোয়ার্দ্দারের ছেলে সাইদুর জোয়ার্দ্দার (৪০), মৃত খিদির জোয়ার্দ্দারের ছেলে ঠান্ডু জোয়ার্দ্দার (৪৫), বশির জোয়ার্দ্দারের ছেলে শেখর জোয়ার্দ্দার (২৫), ময়েন উদ্দিনের ছেলে সোহেল উদ্দিন (৩০) ও মাসুর রানার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন (৩৫) প্রমুখ। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আইয়ুবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা জোয়াদ আলী ও বশির জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের মাঝে সামাজিক অধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে জোয়াদ আলীর সমর্থক জসিমকে মারধর করে বশির জোয়ার্দ্দারের লোকজন। এরই জের ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।