ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষসহ প্রভাষকদের অনুপস্থিতির ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল আকারে ছবি পড়েছে। সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশের নির্দেশ থাকলেও শৈলকুপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ক্ষেত্রে এ নিয়ম পালন করা হয়না। দীর্ঘদিন ধরেই কলেজটিতে নানা অনিয়ম চলে আসছে। এর আগে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস সোবহানের কারনে সরকারি বরাদ্দকৃত ছাত্র হোস্টেলটি সরকারি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে নানা অনিয়ম দূর্নীতির খবর প্রকাশ হলেও অজ্ঞাত কারনে কোন তদন্ত হয়নি। তিনি নিয়মিত দেরিতে কলেজে আসেন। এ সুযোগ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারিগণও ব্যবহার করে। রবিবার, সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে শৈলকুপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে দেখা গেছে, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুস সোবহান তখনও অফিসে উপস্থিত হননি। পাশের শিক্ষক মিলনায়তনে বসে ছিলেন গণিত বিভাগের প্রভাষক তৈয়বুর রহমান তুহিন, প্রবেশদ্বারে দেখামেলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক জহির রায়হানকে। এমন উপস্থিতির বিষয়ে পরিচ্ছন্নকর্মী শেফালী রানী’র নিকট জানা যায়, কলেজে উপস্থিতির এ চিত্র প্রায় নিত্যদিনের। উপস্থিত দুই প্রভাষক জানান, অধ্যক্ষ স্যার হয়তো পুরো বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন, তাছাড়া নিয়মিত সকাল ৯টায় কলেজে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উপস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা কোন মন্তব্য করেন নাই। ক্লাস রুটিনের অজুহাত দেখিয়ে দেরিতে কেউ কেউ আসলেও বৃহস্পতি ও মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস রয়েছে, তবে ওই দুইদিনও সময়মত উপস্থিত না থাকার অভিযোগ রয়েছে অনেক কলেজ শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে শৈলকুপার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরসহ তাদের দাবি নিয়মিতকরণসহ ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস সোবহানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও কোন উত্তর মেলেনি।