নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুপ্রাণিত প্রবাসী বাংলাদেশী” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে গত রবিবার দুপুর ১২টায় এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট দূতাবাসের সামনে বিএনপি-জামায়াত ইসলামী আয়োজিত একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন বিএনপির দক্ষিণ কোরিয়াস্থ শাখার সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিজান। হুমকিদাতা মিজানুর রহমান মিজান এখনো আইনের আওতায় বাইরে। হত্যার হুমকি দেওয়ার পরেই হুমকির বাঁশেরকেল্লা দক্ষিণ কোরিয়ার ফেসবুক ওয়াল থেকে ভিডিওটি প্রমোট করা হয়।
শুধু তাই নয়, হত্যার হুমকি দেওয়ার তিনদিন পরেই মিজানুর রহমান মিজানকে দূতাবাসের অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পরিবারের সাথে সামনে সারিতে বসতে দেখা যায় এবং তাকে দিয়ে গান গাওয়ানো হয়। এমনকি ২০১৬ সালের শেষ অব্দি পর্যন্ত দূতাবাস ও নানান সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে মিজান ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘনিষ্ঠ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দূতাবাস বরাবর তারা অপরাধীদের আইনে আওতায় আনার এবং নানা সংগঠনের নামে জামায়াত শিবিরের হাতকে শক্তিশালী না করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনটি দাখিল করার পরপরই দূতাবাস থেকে কারো মাধ্যমে তথ্য পেয়ে বাঁশেরকেল্লা সাউথ কোরিয়া ভিডিওটি সরিয়ে নেয়।
আওয়ামী লীগ এবং দলটির অংশ সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন যাবৎ দূতাবাসের এই ধরনের ভূমিকার প্রতিবাদ করে আসছে। আর এসবের মূল ভূমিকায় আছেন অ্যাম্বাসির প্রথম সচিব ও এক কর্মচারী।
মানববন্ধনের পরে আয়োজকেরা রাষ্ট্রদূত বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন। স্মারক লিপিতে আয়োজকেরা পাঁচটি নির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলি হল হুমকিদাতা ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা, একটি বঙ্গবন্ধু পরিষদ থাকার পরেও বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও জামায়াত শিবিরের এক কথিত নেতাকে আরেকটি নতুন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক বানিয়ে দূতাবাস যে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সেসব বন্ধ করা, দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া বদলি ও কর্মচারী মিজানুর রহমান তাজ ওরফে বুলবুলের অপসারণ ও বাঁশেরকেল্লা-দক্ষিণ কোরিয়ার এডমিনের সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে দূতবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ শাখার সেক্রেটারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম শেখ, সিনিয়র সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টো, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ডেবিট একরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মেক্সিম চৌধুরী ও দক্ষিণ কোরিয়াস্থ গোপালগঞ্জ এসোসিয়েশানের নেতৃবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধু আদর্শের অনুপ্রাণিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।