নিউজ ডেস্ক:
মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য আটকের ঘটনায় চট্টগ্রামে এক কাস্টমস কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্সও স্থগিত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আনস্টাফিং অফিসার ভুইঞা মফিজুর রহমান।
শুল্ক গোয়েন্দার সুপারিশের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য আটক ও শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তার দায়ে কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। গোপন সংবাদ ছিল যে, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণায় প্রকৃতপক্ষে উচ্চ শুল্কহারের বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা হয়েছে৷ আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী শুল্ক নির্ধারণ করা হয় মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৮ টাকা। অথচ পরবর্তী প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, প্রযোজ্য শুল্ক করাদির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে বের হয়, উক্ত রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগিতায় ফটোকপিয়ার, ওয়াকিটকিসহ ১৬ প্রকারের উচ্চ শুল্ক হারের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বন্দর থেকে বের করে ট্রাকে তা বোঝাই করা হয়৷ উক্ত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটক করে।
চালানের আমদানিকারক সালমান এন্টারপ্রাইজ এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স তৌফিক অ্যান্ড সন্স। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা ভুইঞা মফিজুর রহমান আনস্টাফিং পরীক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। পণ্য খালাসকালে তিনি অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ হিসেবে পণ্যের ছাড়পত্র দেন। কিন্তু ঐ চালানে উচ্চ শুল্ক হারের (২৫%) পণ্য ছিল শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমদানিকারক এই মিথ্যা ঘোষণা দেন।
পরবর্তী সময়ে শুল্ক গোয়েন্দার প্রাথমিক তদন্তে রাজস্ব কর্মকর্তা ভুইঞা মফিজুর রহমানের শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সেসাথে উক্ত রাজস্ব কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়৷ আদেশ অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।