নিউজ ডেস্ক:
ব্যাংকিং খাতে শীর্ষ ২৫ ঋণখেলাপির কাছে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কমিটির পক্ষ থেকে শীর্ষ ২৫ ঋণখেলাপির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
এ সময় বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৪৫ দিনের মধ্যে একটি বাস্তবভিত্তিক রিপোর্ট দেয়ার সুপারিশ করা হয়। বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কী উপায়ে সেগুলো দূর করা যায়, ঋণখেলাপি বন্ধে আইনের কী সংস্কার প্রয়োজন, উচ্চ আদালতের করণীয় ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করে ওই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, কার্যকরী ও সুষ্ঠু শেয়ারবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক সার্ভেইলেন্স সিস্টেম সংযোজন এবং সুপারভিশন ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার ফলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই। সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নতুন জনবল নিয়োগ প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে থাকায় নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নামে-বেনামে নানা ধরনের সার্ভিস চার্জ আদায়, ক্রেডিট কার্ডে অতিরিক্ত সুদ হার, সুপ্ত চার্জ আদায়সহ গ্রাহকদের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী বৈঠকে প্রতিবেদন দেয়ার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি বাজারে চালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয়কে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিতে বৈঠকে কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, ফরহাদ হোসেন এবং আখতার জাহান অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।