শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন পরেই জাঁকিয়ে বসবে শীত। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সব সদস্যকেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেও এই হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
শীতকালে খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো ঠাণ্ডা লাগা। বেশির ভাগ মানুষ ঠাণ্ডা, কাশি, ফ্লুতে ভোগে। এই পরিস্থিতি চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে আগেই ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। শীতকালে বাড়িতে কয়টি বিষয় মেনে চললেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
ময়েশ্চারাইজার রাখুন
আপনার ত্বক এবং চুল এই শীতল আবহাওয়ায় মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এর ফলে চুল ও ত্বক, নিস্তেজ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। আপনার ত্বকে ক্রিম বা তেল দিয়ে ময়েশ্চারাইজার করুন।
ভিটামিন ‘সি’র গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা এখন সচেতন। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। সেই সঙ্গে শুষ্কতা রোধ করে হাইড্রেট থাকতে সাহায্য করবে। এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।
অ্যালকোহল বর্জন
নতুন বছর উপলক্ষে হয়তো শখ করেই অনেকে অ্যালকোহল খাবেন। কিন্তু অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা আরো কমিয়ে দিতে পারে, যা বাড়তি সমস্যা তৈরি করবে শীতে।
এমনিতেই করোনা, তার ওপর আবার শীত। ঠাণ্ডার এই সময়ে প্রয়োজন না হলে বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করুন।
গরম কাপড় পরা
শীত থেকে বাঁচতে প্রথমে আপনাকে প্রয়োজন অনুযায়ী গরম কাপড় পরতে হবে। তুষার বা শিশির পড়ছে এমন জায়গায় গরম কাপড় গায়ে না জড়ালে খুব সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
যদি আপনার শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশ ঠাণ্ডা হয়ে যায়, তবে হাত-পা ঘষবেন না। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হালকা গরম জল ব্যবহার করুন, ত্বকে জোর করে ঘষে না। যদি আক্রান্ত স্থানটি কালো হয়ে যায় (আঘাতের মতো), অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভেন্টিলেশন
আপনি ঘরে যদি রুম হিটার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। তা না হলে ঘরে টক্সিন জমা হবে।
ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারে সতর্কতা
এই টিপসগুলো ছাড়াও আপনার অবশ্যই এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা আপনাকে গরম রাখতে সহায়তা করবে যেমন- খেজুর, বাদাম, আদা এবং কালো মরিচ।
সূত্র : হেলথ শটস।