নিউজ ডেস্ক:
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া তিন দেশের মধ্যে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও এগিয়ে। যদিও বড় দুই প্রতিবেশীর চেয়েও অনেক পরে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
শিশুমৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে বাকি দুই দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। ভারতে যেখানে প্রতি ১০০০ জনে ২৯.৯ এবং পাকিস্তানে ৫৭.২ শিশু মারা যায়, সেখানে বাংলাদেশ এই শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে ২২.১ জনে।
শিক্ষার হারের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ভারত। দেশটিতে শিক্ষার হার ৭৪.৪ শতাংশ। সামান্য পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৩.৯ শতাংশ। সবার শেষে থাকা পাকিস্তানের শিক্ষার হার ৫৯.১৩ শতাংশ।
৫-১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষে। রেটিং ৪.১। ভারতের ৫.৭ এবং খুব খারাপ অবস্থায় থাকা পাকিস্তানের রেটিং ৯.৭।
এই তিনটি দেশই জনবহুল এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। জন্মহার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সবার উপরে (২.০)। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত (২.২) এবং তৃতীয় স্থানে পাকিস্তান (৩.৫)।
গড় আয়ুর এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সবার উপরে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর। সেখানে ভারতে ৬৯.৪ এবং পাকিস্তানে ৬৭.১ বছর।
তিন দেশের মধ্যে জিডিপির শীর্ষেও রয়েছে ভারত। তাদের জিডিপি ২.৯। এরপর আছে বাংলাদেশ (২০৯.৯৭) এবং পাকিস্তান (২৫৬.৭৩)।
গ্রস সেভিংস জিডিপির এক্ষেত্রে শীর্ষ দেশটির নাম বাংলাদেশ (৩৩.৩%)। এরপর আছে ভারত (৩১.১%) এবং সবার শেষে পাকিস্তান (১৯.৩%)।
দারিদ্রসীমার নিচে থাকা নাগরিকের এক্ষেত্রে তিন দেশের পরিস্থিতিতে খুব একটা বড় পার্থক্য নেই। দারিদ্রসীমার নিচে থাকা নাগরিক ভারতে ২১.৯%, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সমান ২৪.৩%।
বায়ু দূষণের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতে (৯০.৯)। শীতের মৌসুমে দেশটির রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি শহর ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ (৬০.৯)। এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থা কিছুটা ভালো (৫৮.৩)।
বেশি সংখ্যক মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসায় বিদ্যুৎতায়নে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (৯৫.২%)। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ (৮৫.২) এবং সবার শেষে পাকিস্তান (৭১.১)।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া