নিউজ ডেস্ক:
ঘৃতকুমারী,এর অন্য নাম অ্যালোভেরা। যেটা হরহামেশাই বিভিন্ন প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনে প্রচার করা হয়।
এটি একটি বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত। এর পাতাগুলো পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে। এই ঘৃতকুমারীর রয়েছে অসাধারণ সব গুণ।
এই ঘৃতকুমারীতে রয়েছে ২০ রকমের খনিজ। মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ২২ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড এতে বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, বি১২, সি ও ই রয়েছে ঘৃতকুমারীতে। মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর পাতা ও শাঁস ব্যবহার করা হয়।
ঘৃতকুমারীর যত গুণ:
ঘৃতকুমারী পাতার রস ত্বকের উপর লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও উপকারী। এছাড়াও আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে ঘৃতকুমারীর ব্যবহারে। এর পাতার রস যকৃতের জন্য উপকারী। নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। নিয়মিত এর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগান দেয়, শরীরের ওজন ঠিক রাখে, মস্তিষ্ক চাপমুক্ত রাখে। ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। হাড় ও মাংশপেশির জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে। সেইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে। কোমরে ব্যথা হলে ঘৃতকুমারীর শাঁস মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
সূত্র: উইকিপিডিয়া।