মো.ফরিদ উদ্দিন,লামা(বান্দরবান)প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের দুর্র্ধষ চুরির ঘটনা ঘটে। নৈশপ্রহরী ও অফিস সহায়ক দুইজনকে একটি রুমে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে ৬/৭ জনের একটি গ্রুপ অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর কক্ষ হতে ৪ লক্ষাধিক টাকা লুট করে। এব্যপারে লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,লামা থানায় অভিযোগ করাছি।
নৈশপ্রহরী মো. আলমগীর (৫০)ও অফিস সহায়ক আবুল হাসেম (৩০) জানান, আমরা কলেজের শিক্ষক হলরুমে ছিলাম। রাত সাড়ে ৩টার দিকে শব্দ শুনতে পাই। উঠে দরজা খুলতে গেলে দেখি বাহির হতে দরজা আটকানো রয়েছে। আমরা চিৎকার করি ও দ্রæত ফোনে অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানায়। অধ্যক্ষ আসার আগে চোরের দল দুইটি রুম হতে আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। জানালা দিয়ে আমরা ৬ জনকে দেখতে পাই। চোরের দল বাহিরের বিদ্যুতের লাইট বন্ধ করে দেয়ায় আমরা তাদের চিনতে পারিনি।
মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার রুম ও অফিস সহকারীর রুম হতে দরজার তালা ও লক ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি আলমারি ও ড্রয়ার থেকে চোরেরা ফরম বিক্রির ও পরীক্ষা পরিচালনার ৪ লক্ষ্য১৪হাজার ৭শত টাকা নিয়ে গেছে। রাতেই বিষয়টি লামা থানাকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বনপুর বাজারে ডাকাতি ও মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজে চুরির বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বনপুর বাজারের ডাকাতির বিষয়টি কোন পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রæপের কাজ হতে পারে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও দোষীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজের চুরির ঘটনা খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের লিখিত করেছে সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত মুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এ যাত ৫ বার মাতামুহুরী কলেজ চুরি হওয়ার পর পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার আহবান ।