চুয়াডাঙ্গায় অর্ধশত ইজিবাইক আটক করল পৌরসভা
নিউজ ডেস্ক:শহরে চলাচলকারী নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত অটোবাইক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। গতকাল রোববার অর্ধশতাধিক অটোবাইক আটক করে পৌর পরিষদ। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে পৌর পরিষদ ও অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের নেতারা। লাইসেন্স করার জন্য একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও তা মানেনি বলে অটোবাইক আটক করা হয়েছে, জানায় পৌরসভা। চুয়াডাঙ্গা জেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির দাবি, পৌরসভার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। এ ঘটনায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বা অটোবাইক মালিক ও চালকেরা ক্ষোভে ফুঁসছেন।শহরে চলাচলকারী নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত অটোবাইক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। গতকাল রোববার অর্ধশতাধিক অটোবাইক আটক করে পৌর পরিষদ। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে পৌর পরিষদ ও অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের নেতারা। লাইসেন্স করার জন্য একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও তা মানেনি বলে অটোবাইক আটক করা হয়েছে, জানায় পৌরসভা। চুয়াডাঙ্গা জেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির দাবি, পৌরসভার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। এ ঘটনায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বা অটোবাইক মালিক ও চালকেরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘শহরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে অন্তত ১০ হাজার অটোবাইক চলাচল করে। কিন্তু কোনো ট্যাক্স বা ফি না দিয়ে চলাচলের কারণে পৌরসভা হারাচ্ছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একাধিকবার অটোবাইক মালিক এবং চালকদের লাইসেন্স করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট তাঁদের লাইসেন্স করার জন্য নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করা হয়, তা না মানায় গতকাল রোববার বেশকিছু অটোবাইক আটক করে লাইসেন্স করার জন্য তাঁদের অনুরোধ জানানো হয়।’ লাইসেন্স প্রসঙ্গে পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘অটোবাইকের লাইসেন্স করার জন্য দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে মাত্র ১ হাজার ২৫০ টাকায় তাঁদের লাইসেন্স করার সুযোগ করে দিয়েছি।’ এদিকে, অটোবাইক চলাচলে পৌরসভার লাইসেন্স দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তাঁরা জোরপূর্বক লাইসেন্সের জন্য অটোবাইক মালিক ও চালকদের ভোগান্তিতে ফেলছেন দাবি করে চুয়াডাঙ্গা জেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মুনতাজুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভা থেকে যে লাইসেন্সের কথা বলা হচ্ছে, এটি কোনো লাইসেন্স নয়, পৌর শহরে চলাচলের জন্য অনুমতিপত্র। আমরা আগামী তিন দিনের মধ্যে যৌথ একটা সিদ্ধান্ত নেব।’