নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি লন্ডনে চালু হয়েছে একটি নগ্ন রেস্তোরাঁ। এই নগ্ন রেস্তোরাঁটির নাম ‘দ্য বুনিয়াদি’। বাংলা ‘বুনিয়াদি’ শব্দের একটি অর্থ ‘প্রাচীন ও সম্ভ্রান্ত’। সেই হিসেবে এই রেস্তোরাঁর নামকরণ তার বৈশিষ্ট্য অনুসারে একেবারে মামানসই। কারণ সেখানে যারা খেতে যাবেন, তাদের কেউ পোশাক পরতে পারবেন না। সম্পূর্ণ নগ্ন শরীরে খেতে বসতে হবে। কিন্তু আপনি চাইলেই সেখানে খেতে যেতে পারবেন না। জানা গেছে, সেখানে খেতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান ক্রেতা রয়েছেন ৪৬ হাজার। খবর লন্ডনের ‘মেইল অনলাইন’ এর।
এই ব্যাপারে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের জানান, এখানে সবকিছুই আদিম। ঝলসানো খাবার, কাঠের গুড়িতে তৈরি বসার জায়গা, বাঁশের তৈরি ঘর, হাতে তৈরি মাটির থালা–বাটি। খাওয়ার সময়ও ক্রেতা যাতে সেই আদিমতার পরিবেশটা উপভোগ করতে পারেন, সেই জন্যেই তাদের নগ্ন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি দুই সাংবাদিক গিয়েছিলেন সেখানে। নগ্ন হয়েই ঢুকতে হয় তাদের। ক্রেতা, মালিক, ওয়েটার ও বাবুর্চিদের সঙ্গে তারা কথাও বলেন। তারপর নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ছবি তারা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। নগ্ন রেস্তরাঁর সেই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমত হইচই পড়ে যায়।
ওই সাংবাদিকদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, রেস্তোরাঁয় ঢোকার পরে ক্রেতাদের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় নিয়ম লেখা একটি কাগজ। যাতে স্পষ্ট ভাষায় বলা রয়েছে, এখানে নগ্নতাকে স্বাগত জানানো হলেও যৌনতা নিষিদ্ধ। সেই ঘরেই বাইরের পোশাক ছেড়ে পরতে দেওয়া হয় একটি সাদা গাউন। চাইলে সেই গাউন ও সাদা নরম চটি পরে খেতে পারবেন ক্রেতারা। আবার ইচ্ছা হলে খাওয়ার মাঝে পোশাক ছেড়ে নগ্ন হয়েও যেতে পারবেন।
এই রেস্তোরাঁর ভিতরের পরিবেশ এমন করে তৈরি করা হয়েছে যাতে বৈদ্যুতিক আলোটুকু ছাড়া বাকিটা প্রাচীন আমলের গুহা মনে হয়। আর আবহাওয়াটাও একদম স্যাঁতস্যাঁতে। তারই মধ্যে আবার ছোট ছোট বাতি জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগ্ন মানুষদের শীত অনুভব হলে তার জন্য মোমের আলোর উত্তাপই ভরসা। ইচ্ছা করলে মেয়েরা শুধু মেয়েদের এলাকাতেও নগ্ন হয়ে থাকতে পারেন।
এই রেস্তোরাঁয় আরও একটা কড়া নিয়ম রয়েছে। সেটি হল ক্যামেরাতো দূরের কথা, মোবাইল ফোন পর্যন্ত কাছে রাখা যায় না। সত্যিই তো, এমন আদিম সভ্যতার সঙ্গে ও সব মানায় নাকি!