মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান ও ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি আজাদ হোসেনের উপর হামলা ও উপজেলার নাগমুদ কচু মার্কেটের বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এলডিপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম।
তবে হামলার ঘটনা ও বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের সাথে কোনভাবেই আওয়ামীলীগ জড়িত নয় দাবী করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, এসব ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরিন কোন্দল। তাদের নিজেদের ঘটনার দায়ভার কোনভাবেই আমরা নেবো না।
স্থানীয় সুত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে বের হওয়ার পথে একদল সন্ত্রাসী ছাত্রদল নেতা মিজান ও আজাদের উপর হামলা করে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মিজানুর রহমানকে ঢাকায় ও আজাদ হোসেন হাজীগঞ্জের একটি হসপিটালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পরদিন শুক্রবার রাতে উপজেলার আলীপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর বিএনপি সমর্থিত জামাল হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
অপরদিকে আজ শনিবার দুপুরে একই উপজেলার ৯নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ কচু মার্কেটের বিএনপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাল চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে রামগঞ্জ শহর থেকে মোটরসাইকেলযোগে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী কচু মার্কেটে গিয়ে বিএনপি কার্যালয়টি ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা অফিসের মূল্যবান মালামাল লুট করে।
ছাত্রদল নেতার উপর হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি সমর্থিত ধানেরশীষের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একের পর দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। রাতে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে যেন নির্বাচনের আগেই উপজেলা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। আমরা লিখিতভাবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারকে বিষয়টি অবগত করবো।
তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্ত ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন জানান, বিষয়টি তাদের ঘরোয়া। এখানে বিএনপিকে বাদ দিয়ে এলডিপিকে মনোনয়ন দেয়ার কারনেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। হামলা বা ভাংচুরের ঘটনায় কোনভাবেই যুবলীগ ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া জানান, অফিস ভাংচুরের ঘটনা আমি জানিনা। আর ছাত্রদল নেতার উপর হামলার ঘটনা আমি মাত্র আপনার কাছে শুনলাম।