মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) ও লক্ষীপুর-৩ (সদর) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) রীট করা হয়েছে। এতে এ আসনগুলোর সীমানা পুনঃনির্ধারণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তি কেন আইন বহির্ভ‚ত ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৮ কর্মকর্তাকে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও শহিদুল করিমের সমন্বিত অবকাশকালীন বেঞ্চ রীটটি আমলে নিয়ে এ নির্দেশ প্রদান করেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ও লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার বাসিন্দা মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যানের আবেদন করা রীটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে সংসদীয় আসনগুলোকে অখন্ড উপজেলা, প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা ও জনসংখ্যার বিভাজন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু লক্ষীপুর-২ আসনের মধ্যে সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন সংযুক্ত থাকায় আঞ্চলিক অখন্ডতা রয়েছে। এছাড়া এসব ইউনিয়নের জনগণ রায়পুর উপজেলার প্রশাসনিক কোন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন না এবং যাতায়াত নেই।
এখানে জনসংখ্যার বিভাজনও রয়েছে। তবে কেন ল²ীপুর-২ ও লক্ষীপুর-৩ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রীট করা হয়। আদালত সূত্রে জানায়, সীমানা পুনঃনির্ধারণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তি কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সচিব, যুগ্ম-সচিব, লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা, রায়পুর ও সদর উপজেলা সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তাকে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। রীটকারী আইনজীবি মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, রায়পুর উপজেলাকে আমরা একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন চাই। এজন্য নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী আমি আদালতে রীট করেছি। আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ ৮ কর্মকর্তাকে জবাব দেওয়ার জন্য বলেছেন।