দাবি আদায়ে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। তবে এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টার পর বিক্ষোভে নামেন রিকশাচালকেরা। ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট সাত দফা এবং জাতীয় রিকশা ও ভ্যানচালক সংগঠন ১০ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এসময় তারা অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে ‘চলবে না চলবে না, অটোরিকশা চলবে না’, ‘অবৈধ অটোরিকশা-চলতে দেওয়া হবে না’, ‘বাংলাদেশে বৈষম্য-মানি না মানব না’, ‘জ্বালো রে জ্বালো-আগুন জ্বালো’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
রিকশাচালকদের অভিযোগ, আগে প্রধান সড়কগুলোতে অটোরিকশা চলতো না। তখন প্যাডেল রিকশা পর্যাপ্ত ভাড়া পেত। এখন সবখানে অটোরিকশা চলে, কেউ কিছু বলে না। ফলে প্যাডেল রিকশাওয়ালারা কোন ভাড়া পায় না। আগের নিয়মে অটোরিকশা বন্ধ করলে তারা ভাড়া পাবে।
এদিকে, ঐক্যজোটের দাবিগুলো হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে রিকশা মালিকানার নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরনো লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যাবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
এছাড়া রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি)-এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে দিতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; যেসব এলাকায় বিশেষ পোশাকে রিকশা বাহিনী গড়ে তুলেছে তা বন্ধ করতে হবে।