নিউজ ডেস্ক:
দেরি করে ঘুমোন? রাতের খাবারও দেরিতে খান? ভুল করছেন। যত দেরি করে খাবেন, তত বিপদ। দেরি করে রাতের খাবার হার্টের জন্য বিপদ ডেকে আনে। বাড়বে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। ডায়াবেটিসের আশঙ্কা। এতো খাবার! তাও আবার রাতে!
ঘড়ির কাঁটা ১০টা ছোঁয়ার পর রাতের খাবার খেয়েছেন তো বিপদে পড়েছেন। রাতের খাবারের আদর্শ সময় ১০টা। তারপরে রাতের খাবার খেলেই বিপদ।
স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা। বাড়বে রক্তচাপ। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়বে। ওজন বাড়ার সম্ভাবনা।
বদলাচ্ছে লাইফস্টাইল, নতুন প্রজন্মের খাদ্যাভ্যাস বদলে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই কেরিয়ারের পিছনে ছোটা। দিনভর ছুট, ছুট আর ছুট। খাওয়ার রুটিনটাই বদলে গিয়েছে। কিন্তু শরীর তো আর সেকথা শুনবে না। সে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। নিয়ম বদলালেই শরীরের দফারফা। তাই শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক একটি মার্কিন গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে খাবার হজম হয় না। ফলে, অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তি। বদহজমে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
বেশি রাতে খাওয়ার ফলে পরের দিন সকালে খিদে পাবে না। ফলে ব্রেকফাস্ট বাদ। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। কিন্তু সারাদিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রাতে জাঙ্ক খাবার, মিষ্টি বা নোনতা খাবার বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়।
ধীরে ধীরে শরীরে ফ্যাট জমা হবে। ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশি রাতে খেয়েই ঘুম। ব্যস। ব্লাড প্রেসার বাড়বে। তাই রাত ১০টার মধ্যে খেয়ে নিতেই হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে।
গবেষকদের দাবি, ভরপেট খাবার না খেয়ে একটু স্যালাড, অল্প একটু গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। সহজ পাওয়া যায় শাক-সবজি খাওয়াই ভালো। রেড মিট, ভাজাভুজি, সোডা, ক্যান্ডি খাওয়া চলবেই না। রাতের খাবার আর ঘুমানো যাওয়ার মধ্যে অন্তত ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতেই হবে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, রাতের খাবারের মধ্যে সঠিক ব্যালান্স করতে হবে। একেবারে অনেকটা না খেয়ে সারাদিনে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।