নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপি মনে করছে, রাজনীতি করতে হলে ভারতের আস্থাভাজন হওয়া প্রয়োজন। আর এ কারণেই ভারতের কাছে এক রকমের আত্মসমর্পণ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীতদাস হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাইছে তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের ভেতরে এরইমধ্যে বেশ কিছু অনুশাসন জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত বিরাগভাজন হয় এমন কোনো বক্তব্য, মন্তব্য ও বিবৃতি না দেয়া। আর বিএনপি নেতারাও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। যেমন কাশ্মীর ইস্যুতে বিএনপি নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে যারা ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিনির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত যেন বিএনপিকে বিশ্বাস করে, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ আরো কয়েকজনকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের আগে থেকেই বিএনপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ভারত।
অনেকে বলছেন, ২০০১ সালে ভারতের সঙ্গে গ্যাস বিক্রিসহ বেশ কিছু বিষয়ে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। তবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি এক রকম চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে মনে করে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। যার ফলে বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে ভারত। তাই বর্তমানে বিএনপি ভারতের আস্থা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ