জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ স্ত্রীর দেওয়া যৌতুক মামলায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ কারাবাস করছেন। গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলের বটতলা আকুর টাকুর পাড়ার ডা: আনন্দ মোহন দাসের মেয়ে ডা: প্রিয়াংকা দাসের বিয়ে হয় ঝিনাইদহ শহরের বাঘাযতিন সড়কের মৃত নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ’র সাথে। বিয়ের সময় পার্থ ও তার পরিবার ২০ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দাবি করে। সেসময় মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে প্রিয়াংকার পিতা ৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে স্বামী ও তার পরিবার ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। টাকা না দেওয়ায় প্রিয়াংকাকে তার ছেলেসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রের বরাবর অভিযোগ দিলে প্রসেনজিৎ ও তার পরিবার তাকে বাড়িতে ফেরত নিবে বলে আশ্বাস প্রদান করে। কিন্তু এরপরও তাদের বাড়িয়ে ফিরিয়ে আনেনি। উপরন্তু তাদের ভরন পোষণ না দিয়ে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। পরে ভুক্তভোগি ডা: প্রিয়াংকা দাস টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।