নিউজ ডেস্ক:
আমাদের মধ্যে অনেকেই কমবেশি সবাই অ্যাসিডিটি সমস্যায় ভোগেন। পাকস্থলী থেকে তৈরি অ্যাসিড বা অম্ল উপরের দিকে উঠে এলে এমন হয়। তবে কয়েকটা অভ্যাস বদলালে এই সমস্যার সমাধান করা যায় সহজেই। একনজরে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে—
১। ভরপেট খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা সারাদিনে অল্প অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। পেট খানিকটা খালি রেখেই খাওয়া শেষ করা ভাল। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। ধীরেসুস্থে ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া ভাল। এতে হজমের সুবিধা হয়।
২। খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। খাওয়ার পরপরই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে অ্যাসিড উপরের দিকে ঠেলে উঠতে পারে। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়াই সবচেয়ে ভাল। খাওয়ার পর বসে বই পড়ুন। কিংবা টিভি দেখুন। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটিও করা যেতে পারে।
৩। কিছু কিছু খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ায়। যেমন-ফ্যাটজাতীয় খাবার, মশলাদার খাবার, বেশি পেঁয়াজ, রসুন, পুদিনা, চা–কফি, চকোলেট। বুক জ্বালার সমস্যা থাকলে এইধরণের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
৪। অ্যাসিডিট কমাতে অনেকে কোমল পানীয় খান। এতে অ্যাসিডিটি সাময়িক কমে। তবে এইধরণের পানীয় থেকে ভবিষ্যতে আরও অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে শুধু পানি খাওয়াই ভাল।
৫। যাদের ওজন বেশি তাদের বুক বা গলা জ্বলার সমস্যা বেশি দেখা যায়। ওজন কমাতে পারলে সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
৬। ধূমপান অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান বন্ধ করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭। খাওয়ার পর ভারী কাজ বা পরিশ্রম না করাই ভাল। হালকা হাঁটাহাঁটি চলতে পারে। কিন্তু ভারী ব্যায়াম একদমই নয়।
৮। রাতে ঘুমের মধ্যে অনেকের গলা জ্বলতে থাকে। মনে হবে, অ্যাসিড উপরে উঠে আসছে। মাথা একটু উঁচু করে শুলে স্বস্তি মিলবে। দুটো বালিশ ব্যবহার করা ভাল।
৯। নানা ধরণের ওষুধ খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। ব্যথা কমানোর ওষুধে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই ভাল।