নিউজ ডেস্ক:
বিলাসবহুল ট্রেন সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। তবে জাপানের এ ট্রেনের সুযোগ-সুবিধা দেখলে অনেকেই যে বিলাসের সংজ্ঞা নতুন করে ভেবে নেবেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ১ মে ‘সিকি-সিমা’ ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
ট্রেনটিতে বিলাসের কী কী রয়েছে, তা জিজ্ঞাসা করার আগে জেনে নেওয়া উচিত কী কী নেই! কারণ এ ট্রেনে রয়েছে ১০টি বগি, যেখানে সর্বমোট যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৪ জন। এর আসনগুলো যেমন আরামদায়ক তেমন যাত্রীদের জন্য দারুণ খাওয়া-দাওয়া, গান শোনা ও ঘুমানোর ব্যবস্থা। এ কারণে ট্রেনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন বলা হচ্ছে।
ট্রেনটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে উচ্চমূল্যর হওয়া সত্ত্বেও এ ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। যাত্রীদের চাপের কারণে টিকিট লটারির মাধ্যমেই দেওয়া হয়। প্রায় ৬০ ঘণ্টার ভ্রমণে যাত্রীদের গুণতে হয় বাংলাদেশি প্রায় পৌনে আট লাখ টাকা।
ইস্ট জাপান রেলওয়ে কম্পানি এ ট্রেনের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। ট্রেনটি মূলত পর্যটকদের জন্য। এতে রয়েছে তিন রাত ও দুই দিনের প্যাকেজ টুরের ব্যবস্থা। টোকিওর উয়েনো স্টেশন থেকে শুরু করে পাহাড়ি পথে উত্তরের ইউযাওয়াতে যাত্রা করে। এরপর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ ও বিরতি শেষে আবার সেখানে ফিরে আসে।
যাত্রাপথে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকে তার মধ্যে রয়েছে আরামদায়ক বিছানা, বাথরুম ও শাওয়ার। বাইরের দৃশ্য দেখার জন্য বড় জানালা ও আরামদায়ক সোফা। মূল্যবান কাঠের ইন্টেরিয়রের পাশাপাশি রয়েছে বিলাসবহুল ডাইনিং ও প্রশিক্ষিত কর্মীদের সেবা।
ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার। জাপানের অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে এর গতি কম থাকার কারণ হিসেবে পর্যটকদের দৃশ্য দেখার সুবিধার কথা জানা যায়। এ ছাড়া ট্রেনটি ন্যারো গেজের লাইনে চলার কারণেও গতি কিছুটা কম।
ট্রেন ভ্রমণে প্রথম রাতের ডিনারের পর যাত্রীদের জন্য লাইভ পারফর্মেন্সের ব্যবস্থা করা হয়। এতে জাপানি ঐতিহ্যবাহী ‘ড্যান্স অব দ্য ডেড’ প্রদর্শিত হয়।
ট্রেনের রেস্টুরেন্টটিরও বিশেষত্ব রয়েছে। এখানে প্রত্যেক যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী পৃথকভাবে খাবার প্রস্তুত হয়। আপনি চাইলে আপনার খাবার কিভাবে প্রস্তুত হচ্ছে, তা দেখতে পারবেন। ট্রেনের বেডরুমগুলো ঠিক সাধারণ ট্রেনের বেডরুমের মতো নয়। এটি দেখতে অনেকটা হোটেলের বেডরুমের মতো।