নিউজ ডেস্ক:
মাথায় পানি ভরা বোতল আটকে নির্দ্বিধায় হাত না দিয়ে পানি খাওয়াতে পারেন অদ্ভুত এক ব্যক্তি। শুধু পানির বোতলই নয়, জুস, কোল্ড ড্রিংক সব রকমের ক্যানও চুম্বকের মত আটকে নিতে পারেন মাথায়। মাথা হেলালেও পরে যায়না কিছু। এই অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের জন্য আমেরিকার শিকাগো শহরের জেমি কিটোনকে তাই সকলে নাম দিয়েছেন ‘ক্যান হেড’।
জেমি তাঁর এই আশ্চর্য্য ক্ষমতার লাইভ ভিডিও করেও দেখিয়েছেন। মাতায় বোতল, ক্যান আটকে তিনি মানুষকে পানি খাওয়ান। এভাবেই মজা করতে করতে তিনি সমাজসেবা করে যাচ্ছেন।
জেমি প্রথমে জানতেন না তাঁর এই অসাধারণ ক্ষমতার কথা। হঠাৎই একদিন আবিস্কার করেন তাঁর মাথায় আটকে যায় অনেক কিছু। ব্যালেন্সে নয় রীতিমত চিপকে থাকে বলা যায়। যেন মাথায় বড় ক্ষমতার কোনও চূম্বক আটকানো আছে। জেমির লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় তিনি মাথায় আটকানো পানির বোতল থেকে পানি খাওয়াচ্ছেন লোকেদের। এরপর জেমি একজনকে ডেকে তাঁকে একটা কোল্ড ড্রিংকের ক্যান দিয়ে বলেন ভাল করে দেখে নিতে তাতে কোনও আঠা জাতিয় কিছু লাগানো আছে কিনা যাতে মানুষের মনে কোনও সন্দেহ না থাকে। এরপর সবার সামনে জেমি হাতের তালুতে ক্যানটিকে আটকে ফেলেন। জেমির এমন ক্ষমতা দেখতে লোকে ভিড় জমিয়ে দেন। এ কোন আশ্চর্য্য ক্ষমতার অধিকারী জেমি? জানা গেছে,এক ধরণের চামড়ার রোগে আক্রান্ত জেমি।
চামড়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেমি শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। তাই জেমির শরীরের মাথার অংশ ‘সাকশান কাপে’র মত কাজ করে। এই কারণেই জেমি শরীরে আটকে ফেলতে পারেন যা কিছু।
জেমির এই আশ্চর্য্য ক্ষমতা জানাজানি হওয়ার পর তিনি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। ইতিমধ্যেই জেমির নাম ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ উঠে গেছে। একটি বড় বিজ্ঞাপন সংস্থা তাঁকে দিয়ে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনও করাতে চায়। জেমি বলছেন, “আমার ডাক্তার বলেছেন আমার চামড়া সাকশান কাপের মত কাজ করে। একারণেই জিনিসপত্র আমার গায়ের সঙ্গে আটকে যায়”।
জেমি আরো বলেন, “আমার যখন সাত বছর বয়স তখন আমি জানতে পারি আমার এই আশ্চর্য্য ক্ষমতার কথা। প্রথমে আমি এ বিষয়ে কাউকেই বেশি কিছু বলিনি। আমার ভয় হত লোক আমায় পাগল না ভাবে। ”