নিউজ ডেস্ক:
ব্রিটিশ তরুণী জর্জিয়া ব্র্যাডলি প্লেমাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। সম্প্রতি গ্রিসের ক্রিট সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একা একা সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে বিপদে পড়েন। দুইজন অপরিচত ব্যক্তি তাকে মদ্যপানের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। আসন্ন বিপদের কথা ভেবে শিউরে উঠা জর্জিয়ার ত্রানকর্তা হয়ে আসে একটি কুকুর।
কুকুরটি এসেই জর্জিয়ার হাতে চাটতে থাকে। যেন তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। পাশাপাশি চিৎকার করে ঘেউঘেউ করতে থাকে। শেষে কুকুরই বাঁচিয়ে দেয় জর্জিয়াকে। অবসর শেষ করে ব্রিটেনে চলে যান জর্জিয়া। কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করেন তিনি কেবল সেই কুকুরটির কথাই ভাবছেন, যে তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে প্লেনের টিকেট কাটেন। টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি চাইছিলেন যত তাড়াতাড়ি গ্রিসে যাওয়া যায়। অবশেষে দুই সপ্তাহ পরের টিকেট পেলেন। তাতেও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন জর্জিয়া।
তিনি বলেন, আমি ওর কথা না ভেবে থাকতে পারছিলাম না। ব্রিটেনে আসার দুই সপ্তাহ পরে গ্রিসের টিকেট পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য ঝুঁকিরও ছিল। কারণ তাকে আবার পাওয়া যাবে কী না, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু সমুদ্রসৈকতে যখন আমি তাকে আবার দেখেছিলাম সেটা ছিল আমার জীবনের সেরা অনুভূতি।
গ্রিসের সেই কুকুরকে দত্তক নেয়ার কাজটি সহজ ছিল না। বেশ কয়েকবার গ্রিসে যেতে হয়েছে জর্জিয়াকে। অনেক অর্থ খরচ করতে গয়েছে। অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।
পিপারকে (কুকুরের নাম) যেমন জর্জিয়া চমক দিয়েছেন তিনি নিজেও আরও বেশি চমকিত হয়েছেন। জর্জিয়া জানতেন না, পিপার মা হতে চলেছে। গ্রিস থেকে ব্রিটেন আসার এক সপ্তাহের মাথায় ছয় সন্তানের জন্ম দেয় পিপার। জর্জিয়া বলেন, এটা অদ্ভূত এটা জার্নি ছিল। কিন্তু এখন অনেক ভালো লাগছে। পিপার খুব ভালোভাবে নতুন ঠিকানায় মানিয়ে নিয়েছে।