নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরে স্বামী তার স্ত্রীকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে টাঙ্গিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালিয়েছে বলে মেয়ে পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার ভবনন্দপুর গ্রামে গত বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে বিথীর (২৪) সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগে সদর উপজেলার ভবনন্দপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীরের (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা বিথীর সাথে খারাপ আচরণ করত এবং প্রায়ই মারধর করত। এরই জের ধরে বুধবার রাতে বিথীকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করে বিথীর পরিবার। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীরসহ ওই পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তিনি আরও জানান, আমাদের মেয়ে বিথীকে তার স্বামী, শ^াশুড়ী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও শ^াসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালাবার চেষ্টা চালিয়েছে। আর এই হত্যাকান্ডের খবর পেয়েছি পরদিন সকালে ওই গ্রামের লোকজনের মাধ্যামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে এ দিন দুপুরে বিথীর পিতার পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ইসলামপুর গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ্ দারা খান জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে মেয়ের পিতার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বিথীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।