বিএনপি-আ.লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর-২ আসনের মটমুড়া ইউপিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ও মেহেরপুর-১ আসনের বারাদিতে অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ও বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কে বা কারা অফিসটির ছাউনি ত্রিপল ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সে গুলো পুড়ে যায়। মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের বিএনপি প্রার্ধী জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারনার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট বাজারে নির্বাচনী প্রচারনা অফিসটি স্থাপন করা হয়। রাতে কে বা কাহার অফিসটির ত্রিপল ছিড়ে ফেলে তাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সকালে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফোন দিয়ে অফিসটি পুড়িয়ে দেবার খবর দিলে জানতে পারি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বামন্দী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়, শুক্রবার বিকেলে কাজিপুর ইউনিয়নে গণসংযোগে গেলে সেখানে আমার নেতাকর্মিদের উপর হামলা চালানো হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাব। প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন ভাবে হেনেস্থা করার চেষ্টা করছে বিষয়গুলো রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে জানানো হবে। এদিকে, একই চিত্র মেহেরপুর-১ আসনে। মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ মাসুদ অরুন বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি বাজারে গতকাল কর্মিসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। আমি প্রধান অতিথি ছিলাম, কর্মিসভা শেষে স্থান ত্যাগ করলে তাৎক্ষনিক বারাদি ইউনিট আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে। মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ শেষে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারনা অফিসের সামনে গেলে কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মি অফিসে ভাংচুর করে। চেয়ার ভেঙ্গে, ত্রিপল ছিড়ে দিয়ে আবারো জয় বাংলার স্লোগান দিয়ে চলে যায়। পাশাপাশি মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নে আমার প্রচার মাইক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তবে, মেহেরপুুর-২ গাংনী আসনের নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা মকলেছুর রহমান মকুল জানান, রাতের ঘটনা এটা বিএনপির দলীয় কোন্দল। এটার সঙ্গে আমাদের কোন সংযোগ নেই। আমরা আওয়ামী লীগ যেটা করব দিনের আলোতে করব। রাতের আধারে চুরি করে কোন কাজ আওয়ামী লীগ করে না। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক মেহেরপুর-১ আসনের বারাদির হামলার ঘটনায় বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগ করেনি। এটা ডিজিটাল যুগ সবার হাতে মোবাইল ফোন। যদি কেউ করে থাকে নিশ্চিয় তাদের ছবি থাকবে। আসলে নিজেরা একটি ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের উপর দ্বায় চাপাতে চাইছে।’