নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার জের ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগে সরকারি বালক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিক পাড়ার আজিজুল হকের নবম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে আয়েশা খাতুনের সঙ্গে শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে সরকারি বালক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সিয়ামের প্রেমের সম্পর্কের কারণে মেয়েকে বকাবকি করে তাঁর পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় এ দিন সোমবার দুপুরের দিকে আয়েশা নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে লাশ দেখতে তাদের বাড়ি গিয়ে কান্নাকাটি করে প্রেমিক সিয়াম। এ সময় তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ৪-৫টি মোটরসাইকেল ৮-১০ যুবক সিয়ামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার পিতা-মাতার সামনে থেকে সিয়ামকে তুলে নিয়ে মল্লিকপাড়ার একটি বাড়িতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে নির্মমভাবে নির্যাতন চালান। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ দারা খান বলেন, আত্মহত্যার ব্যাপারে আয়েশা খাতুনের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। পরবর্তীতে একটি ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।