নিউজ ডেস্ক:গাড়ি থেকে চাঁদার টাকা তুলতে গিয়ে গাড়ি থেকে পিছলে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে সোহেল রানা (২৭) নামের এক যুবক। নিহত সোহেল রানা চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন দলকালক্ষীপুর গ্রামের আশাবুল হকের বড় ছেলে। গতকাল বুধবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে মেহেরপুর সদরের চাঁদপুর গ্রামের অদুরবর্তী কবরস্থানের পাশে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মহাসড়কের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলাইডাঙ্গা প্রামের নুরুর ছেলে মুন্নার নেতৃত্বে সিংহাটি গ্রামের রহমানের ছেলে ইখলাছ ও চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দলকালক্ষীপুর গ্রামের আশাবুলের ছেলে সোহেল রানা চাঁদপুর গ্রামের অদুরবর্তী কবরস্থানের নিকট ট্রাক, আলমসাধু ও নছিমন থামিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চাঁদা তুলে আসছিলো। ৩ জনই মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কালো কার্ডধারী সদস্য বলে জানা যায়। ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি কাঁচামাল ভর্তি ট্রাকের (নং-ঝিনাইদহ-ট-১১-১১৮৯) গতিরোধ করে গাড়িতে উঠে চাঁদার টাকা নিতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ট্রাকের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সোহেল রানা। খবর পেয়ে বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশের একটি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ক্যাম্প হেফাজতে রাখেন।মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক আলতার হোসেন বলেন- রাস্তায় এভাবে যানবাহনের গতিরোধ করে চাঁদা তোলা অবৈধ। ভুক্তভোগীরা বলেন, কিসের বলে এরা এভাবে চাঁদা তোলে এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার আমরা এদের অত্যাচারে অতিষ্ট। এ ব্যাপারে মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে মোবাইলে পাওয়া যায় নি। বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী বলেন- ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে ক্যাম্প হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে ঘাতক ট্রাক মালিক নিহত সোহেল রানার পরিবারকে নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করেন।