আব্দুর রশিদের বিরুদ্বে যৌন হয়রানীর অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে দুই ইউনিয়ন দলনেত্রীকে যৌন হয়রানী করেছেন বলে অভিযোগে উঠেছে। এ অভিযোগ মেহেরপুর আনসার বাহিনীর ইউনিয়ন দলনেতা ও দল নেত্রীসহ আনসার বাহিনীর সদস্যদের। বিষয়টি নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আনসার বাহিনীর ইউনিয়ন দলনেতা ও নেত্রীরা জেলা কমান্ড্যান্ট’র কাছে প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের চাকুরিচ্যুতিসহ বিপদে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তিনি। এর প্রতিবাদে দল নেতা-নেত্রীরা জেলা কামান্ড্যান্ট আব্দুর রশিদকে তার কক্ষে ঘেরাও করে রাখেন। এসময় খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম ও মেহেরপুর সদর থানার আফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এসময় খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আনসার অফিসের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর জেলা কমান্ড্যান্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ সময় সংবাদকর্মীরা খবর সংগ্রহের জন্য প্রায় আড়াই ঘন্টা গেটের বাইরে আপেক্ষা করতে থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। দু’জন দল নেত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযোগও করেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আনসার সদস্যরা তাকে এখান থেকে দ্রুত বদলীর দাবি জানিয়েছে।একাধিক ইউনিয়ন দল নেতা ও নেত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা কমান্ড্যান্ট আব্দুর রশিদ মেহেরপুরে যোগ দেওয়ার পর থেকে যুবতী ছাড়া বয়স্ক কোন সদস্যকে নেওয়ার আগ্রহ দেখান না। যুবতি সদস্যদের মোবাইল নম্বর নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপর তিনি বিভিন্ন ভাবে তাদের যৌন হয়রানী করে থাকেন। গত ৫ তারিখে ২ জন ইউনিয়ন দল নেত্রীকে তিনি জোরপূর্বক চুম্বনসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। মেহেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট আব্দুর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত আভিযোগ একটি ষড়যন্ত্র। এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। কিছুদিন পূর্বে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে এ ধরনের একটি ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন ওটা একটা পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম।