নিউজ ডেস্ক:
স্থূলতা নিয়ে যেমন মনকে নিয়ে যায় ডিপ্রেশনে। তেমনি শরীরে দানা বাঁধায় নানা রোগ। স্থূলতা থেকে রেহায় পেতে চান সবাই।
স্থূলতা হলো শরীরের এমন একটি অবস্থান, যে অবস্থায় শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়।
স্থূলতার কারণ
অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসথ বর্তমানে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা অনেক কমে গেছে এবং কারও কারও বেলায় শারীরিক পরিশ্রম বলতেই নেই। বিশেষ করে শহরে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন ও স্থূলতার জন্য দায়ী।
স্বাস্থ্যের ওপর স্থূলতার প্রভাব
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডিসলিপিডেমিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা,শল্য চিকিৎসার উচ্চমাত্রার ঝুঁকি। আয়ু কমে যাওয়া এবং মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়া। মানসিক ও যৌন সমস্যা। ক্যান্সার : স্তন, জরায়ু, পিত্তথলি, ডিম্বাশয়, অন্ত্র ও প্রস্টেট।
স্থূলতা যেভাবে কমানো যায়
ক) নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে চিকিৎসা
কোনো ব্যক্তির খাদ্যশক্তি নিরূপণ করে যদি দেখা যায়, তার শরীরে ৫ কেজির বেশি অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তবে প্রতিদিন ৫০০ কিলোক্যালরি কম খেলে সপ্তাহে আধা কেজি ওজন কমবে এবং মাসে কমবে ২ কেজি। অন্যদিকে যদি অতিরিক্ত ওজন পাঁচ কেজি অথবা কম হয়, তবে প্রতিদিন ২৫০ কিলোক্যালরি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিলে সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম এবং মাসে এক কেজি পরিমাণ ওজন কমবে।
খ) শারীরিক পরিশ্রম বাড়ানো
দৈনিক অন্তত এক ঘণ্টা দ্রম্নত হাঁটতে হবে। অল্প দূরত্বের যাত্রায় রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটে চলতে হবে।
স্থূলতার প্রতিরোধ
শারীরিক পরিশ্রম ও সুষম খাবার স্থূলতায় ও মোটা হওয়া প্রতিরোধ করে। তাজা ফল এবং প্রচুর পরিমাণে কাঁচা শাকসবজি খেতে হবে। শিশুদের কোমল পানীয়, ফলের রস এবং চকোলেট জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে।