নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ কৃষ্ণপুর মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নয়ন (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরতর জখম হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী ওই স্কুলছাত্রের চাচাতো ভাই মানিক (১৬)। গতকাল রোববার বিকেলে কৃষ্ণপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন। নয়ন মুঞ্জিগঞ্জ একাডেমি স্কুলের দশম শ্রেণি ও মানিক একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। নিহত নয়ন আলমডাঙ্গা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাঠপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী জিনারুল ইসলামের ছেলে ও আহত মানিক একই এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বিকেলে ১৬০ সিসির (হোন্ডা হরনেট) মোটরসাইকেল নিয়ে নয়ন ও তার চাচাতো ভাই মানিক মুন্সিগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে দ্রুতগতিতে আসছিল। এ সময় কৃষ্ণপুর মোড়ে ঘুরতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনই রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় ছেছড়িয়ে রাস্তার পাশে থাকা পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেলে মাথায় আঘাত লাগে নয়নের। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরতর মানিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘নয়নের মাথায় প্রচ- আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। মানিকেরও মাথায় আঘাত লেগেছে। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে৷ আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিককে রাজশাহী রেফার্ড করেছি।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গাজী শামিম বলেন, ‘কৃষ্ণপুর মোড়ে দ্রুতগতিতে মোড় ঘোরার সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নয়ন নামের এক স্কুলছাত্র নিহত ও মানিক নামের একজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’
এদিকে, স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ছেলেকে হারিয়ে তার মা পাগল প্রায়। নিহত নয়ন দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে নয়ন সবার বড়। নয়নের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।