নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের আবু বকর মল্লিক গ্রুপের রমজান আলী, আবু বকর মল্লিক, আব্দুল ওহাব, আব্দুল লতিফ, রমজান আলী, আলামিন হোসেন, মজনু মিয়া, বিদ্যুৎ হোসেন, একই উপজেলা শিবপুর গ্রামের হানিফ মোহাম্মদ গ্রুপের হানিফ মোহাম্মদ, সেলিম রেজা, খাজেল উদ্দিন। আহতদের মধ্যে রমজান আলী গ্রুপের ৭ জন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এবং হানিফ মোহাম্মদ গ্রুপের ২ জন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রমজান আলীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আবু বকরের ছেলে আহত আব্দুল লতিফ জানান, ২২ বছর ধরে ওই জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু এই জমির কিছু অংশ তাদের দাবি করে আদালতে মামলা করছে। আমরা ওই জমিতে ঘর তৈরি করতে গেলে আদালতের নির্দেশে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। বৃষ্টির পানিতে জমিটি ডুবে যাচ্ছিল যে কারণে ড্রেণ করা হচ্ছিল। তারা এতে মনে করেছে আমরা কাজ করছি। এতে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনে উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের গ্রুপের সাতজন রক্তাক্ত জখম হয়।
হানিফ মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। মেহেরপুর আদালতে এ নিয়ে মামলাও চলছে। বারবার আবু বকরকে জমি বুঝিয়ে দিতে বললে আজ-কাল করে সময় ক্ষেপণ করে। শুক্রবার ওই জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি পুলিশকে বললে তারা বলে, এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পরবো না। শনিবার ভোরে আমরা আমাদের জমি বুঝে নেওয়ার জন্য ঘিরে ফেলি। এর পর আবু বকরের লোকজন গিয়ে আমাদের বেড়া তুলে দেয়। এতে কথাকাটাকাটির জের ধরে গন্ডগোল বাঁধে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাশিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। বিবাদমান ওই জমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি আছে। আদালতের নির্দেশে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হানিফ মোহাম্মদ তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করতে যাওয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।