বুধবার (৩১জুলাই) সকাল ও প্রতিদিন পৃথকভাবে টেকনাফ সীমান্তে আর্টিলারি ও মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এছাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের ভেতর মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার ভোর ও বিকেলে মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে মর্টারশেলের শব্দ ভেসে আসে। এসব গোলার শব্দে এখানকার মানুষের মাঝে ভীতি বাড়ছে। ওপারে যুদ্ধ বাড়ায় সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা এপারে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সীমান্তের আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফে প্রবল বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ওপারে যুদ্ধের কারণে টেকনাফের নাইট্যংপাড়া, পুরান পল্লান পাড়া কায়ুকখালীপাড়া, জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, কুলালপাড়া, খাংগার ডেইল, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাংয়ের মগপাড়া, আছারবনিয়া, ডেগিল্ল্যা বিল, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ায় মর্টারশেল ও বোমার বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কাঁপছে। কারণ সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বেড়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি চলমান রয়েছে। ফলে কোনো রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ওপারে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থায় রয়েছে।