নিউজ ডেস্ক:
এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে বাংলা ভাষা যুক্ত করেছি আমরা। বিশ্বের সব মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ভাষার বৈচিত্র্যতা যেনো বিশ্বব্যাপি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করে সে লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। বিশ্বব্যাপি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগতভাবে যেনো মোবাইল ফার্স্ট-ক্লাউড ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অনায়াসে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তা নিশ্চিৎ করতেই আমাদের এ পদক্ষেপ। ”
স্থানীয়রা, পর্যটক কিংবা বিশ্বের যে কোনো মানুষ উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, কিন্ডল ও আইওএস ডিভাইসে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েবে গিয়ে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর লাইভ ফিচারের মাধ্যমে নয়টি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। গ্রাহক সহায়তা ও সেবা, ওয়েব লোকালাইজেশন বা স্থানীয়করণ, প্রশিক্ষণ বা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অনায়াসে তাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোসফটের ট্রান্সলেটর টেক্সট এপিআই যুক্ত করতে পারবে।
সোনিয়া বশির কবির আরো বলেন, “প্ল্যাটফর্মটিতে বাংলা ভাষা যুক্ত করার ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ, বাংলাদেশ এবং এদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাবে। মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে সমর্থনযোগ্য ৬০টিরও বেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় লিখিতভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন বাংলা ভাষাভাষীরা। সর্বোপরি, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।